ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

যমুনা নদীর তীরে সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ এগিয়ে চলছে

যমুনা নদীর তীরে সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ এগিয়ে চলছে

যমুনা নদীর তীরে প্রায় ৯ কোটি টাকা ব্যয়ে সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্পের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। এরইমধ্যে প্রায় ৭৫ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। আগামী জুন মাসে এ প্রকল্পের কাজ শেষ হতে পারে এবং একই মাসে এ কেন্দ্র থেকে জাতীয় গ্রিডে ৬৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদন বাড়াতে বাংলাদেশ ও চীন যৌথভাবে এ প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন করছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সিরাজগঞ্জের সয়দাবাদ এলাকায় যমুনা নদীর তীরে ২১৪ একর জমিতে বসানো হয়েছে ২৭ হাজার পিলার এবং এ পিলারের উপর বসানো হচ্ছে শক্তিশালী সোলার প্যানেল। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৮ কোটি ৭৭ লাখ টাকা এবং এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ-চায়না রিনিউয়েবল এনার্জি কোম্পানি। জ্বালানি আমদানির ওপর চাপ কমাতে দেশে মোট ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এ প্রকল্পের প্রথম ধাপের কাজ হচ্ছে উল্লেখিত এলাকায়। বিশেষ করে এ বিদ্যুতে চরের জমিতে মৌসুমি আবাদও করা যাবে। প্রকল্প ব্যয় ৮৭ দশমিক ৭১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (চুক্তিকালীন ডলারের বিনিময় হার ১০৫ টাকা হিসাবে প্রায় ৯২১ কোটি টাকা)। যৌথ অর্থায়নে বিদ্যুৎকেন্দ্রটির ৫০ শতাংশ মালিকানায় রয়েছে বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান নর্থওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি। অর্ধেক মালিকানা চীনের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশনের (সিএমসি)। চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশনের (সিএমসি) ডেপুটি ম্যানেজার আব্দুল্লাহ আল মারুফ হোসেন ও বাংলাদেশি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান লাম এন্টার প্রাইজের প্রজেক্ট ম্যানেজার মাসুদুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, উক্ত প্রকল্পের ৭৫ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ হতে পারে। এ বিদ্যুৎকেন্দ্র ব্যতিক্রম। এ কেন্দ্র উঁচু পিলারের ওপর সোলার প্যানেল বসানোর কারণে চরাঞ্চলে বিভিন্ন মৌসুমি ফসল চাষ করা হবে। এতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পাশাপাশি ফসলেরও চাষাবাদ করা যাবে বলে তারা উল্লেখ করেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত