দুমকিতে বোরো ধানের বাম্পার ফলন
প্রকাশ : ১১ মে ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
দুমকি (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
পটুয়াখালী : বুক ভরা স্বপ্ন নিয়ে নির্বিঘ্নে বোরো ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন পটুয়াখালী জেলার দুমকির কৃষান-কৃষানিরা। অনুকূল আবহাওয়া বিরাজ করায় কৃষকের চোখে-মুখে ফুটে উঠেছে কাঙ্ক্ষিত আশার ছাপ। নতুন ধানের ম ম গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে চারিদিক। গত দুই দিনের বৈরী আবহাওয়ার কারণে কৃষকদের মনে যে আতঙ্কের জন্ম নিয়েছিল এখন আর সেটি নেই। আবহাওয়া ভালো হওয়ায় ধান কাটার মহোৎসব চলছে। আগে এ উপজেলায় কেবল আমন ও ইরি ধানের চাষ করা হলেও কৃষিতে উন্নত প্রযুক্তির আবির্ভাব ও উপজেলা কৃষি অফিসের সহায়তার ফলে বোরো ধান চাষে আগ্রহী হচ্ছে স্থানীয় কৃষকেরা। কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, আগে এ উপজেলায় কেবল আমন ও ইরি ধানের চাষ করা হলেও কৃষিতে উন্নত প্রযুক্তির আবির্ভাব ও উপজেলা কৃষি অফিসের সহায়তার ফলে বোরো ধান চাষে আগ্রহী হচ্ছে স্থানীয় কৃষকরা। উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের কৃষক আ. সালাম জানান, উপজেলা কৃষি অফিস থেকে ৫ কেজি বীজ ধান ও ২০ কেজি সার দিয়েছে। এছাড়াও উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শ মোতাবেক চাষাবাদে ফলন খুব ভালো হয়েছে। এক বিঘা জমিতে ২০-২৩ মণ ধান হয়েছে যা আমি ৯০০ টাকা মণ দরে বিক্রি করেছি। একই ওয়ার্ডের অপর কৃষক মিজানুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, সার, বীজ ও কীটনাশক নিজ খরচায় মিটাতে গিয়ে আমার উৎপাদন খরচ বেশি পড়েছে। যদি উপজেলা কৃষি অফিস থেকে আমাকে পরামর্শ দিয়েও সহায়তা করা হতো তাহলে খরচ একটু কম হতো। এ সম্পর্কে জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইমরান হোসেন জানান, এবারে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে ৩১১ হেক্টর জমিতে উচ্চ ফলনশীল উফশী জাত, ৫২ হেক্টর জমিতে হাইব্রিড এবং ১ হেক্টর জমিতে স্থানীয় জাতের ধানের চাষ হয়েছে। ইতিমধ্যে প্রায় ৫০ শতাংশ ধান কাটা শেষ হয়েছে। এক প্রশ্নর জবাবে তিনি আরও জানান, আগামী সপ্তাহে ধানকাটার জন্য ৫০ শতাংশ ভর্তুকি মূল্যে স্থানীয় কৃষকদের মাঝে একটি কম্বাইন্ড হার্ভেস্টার মেশিন বিতরণ করা হবে।