বিএনপি এখন অদৃশ্য শক্তির ওপর নির্ভর হয়ে পড়ছে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
প্রকাশ : ১৩ মে ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার
নির্বাচন মিস করে বিএনপি এখন অদৃশ্য শক্তির উপর নির্ভর করা শুরু করেছে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
গতকাল বিকালে কক্সবাজার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের সাথে ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে চৎমকার, এই সম্পর্কে আরও উচ্চতায় নিয়ে যেতে বাংলাদেশে আসছে ডোনাল্ড লু। আমাদের চেষ্টা থাকবে এ সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলা সংঘর্ষের ফলে বাংলাদেশের রোহিঙ্গা শিবিরে কোনো ধরনের হুমকি নেই। সে দেশের সেনারা পালিয়ে আশ্রয় নিচ্ছে। আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনে তাদের স্বদেশে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। গেল কয়েকদিনে আরও ১৩৮ জন এসেছে। তাদেরও নিয়ম মেনে স্বদেশে ফেরত পাঠানো হবে।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, রোহিঙ্গাদের কারণে আমাদের সবদিকেই সমস্যা হচ্ছে। তবে, উখিয়া-টেকনাফের ৩৩টি আশ্রয় ক্যাম্প সীমান্ত থেকে দূরে হওয়ায় রাখাইনের সংঘাতের প্রভাব এখানে পড়ছে না। সব ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড কঠোর হাতে দমন করা হচ্ছে। এরপরও অন্য দেশের বোঝা আমরা দীর্ঘদিন মাথায় নিয়ে থাকতে পারি না। এদের নিয়মতান্ত্রিক পন্থায় প্রত্যাবাসনে প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির দ্বিতীয় সভা উপলক্ষ্যে কক্সবাজারে অবস্থান করছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সব সদস্য।
এর আগে সকালে ক্যাম্প-৫ সিআইসি অফিসে সাধারণ রোহিঙ্গাদের সাথে মতবিনিময়ে মিলিত হন তারা। পরে কমিটির সদস্যরা ক্যাম্পের বিভিন্ন কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।
বিকালে স্থায়ী কমিটির সভাপতি, সদস্য ও কমিটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা খুরুশকুল আশ্রায়ণ ও বায়ু বিদ্যুৎ প্রকল্প পরিদর্শন করে বিকাল ৫টায় শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন অফিসারের কার্যালয়ের সেমিনার কক্ষে আরআরআরসি’র প্রতিনিধি, রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে কর্মরত জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধি, এনজিও, আইএনজিওর প্রতিনিধি, জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি, নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতিনিধিদের সাথে যৌথ সভায় মিলিত হন।
বৈঠক শেষে রাত পৌনে ৮টার দিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন বলেন, কক্সবাজার এসে আমরা সরকারের উন্নয়নের মেগাপ্রকল্প রেললাইন, খুরুশকুল আশ্রয়ণ প্রকল্প, বায়ু বিদ্যুৎ প্রকল্প, মরিন ড্রাইভসহ চলমান কাজগুলো পরিদর্শন করেছি।
সকালে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভুক্তভোগী রোহিঙ্গা, স্টক হোল্ডারসহ সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলেছি। রোহিঙ্গাদের দ্বারা সৃষ্ট সমস্যা চিহ্নিত করে সরকারকে জানানো হবে। সরকার যে সিদ্ধান্ত নিবে সেটি সবাইকে জানানো হবে।
এ সময় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ড. একে আব্দুল মোমেন, নাহিম রাজ্জাক, নুরুল ইসলাম নাহিদ, হাবিবুর রহমান ও জাতীয় সংসদের হুইপ সাইমুম সারওয়ার কমল, মো. জাহিদ আহসান রাসেল, নিজাম উদ্দিন জলিলসহ অন্যরাও এতে অংশ নেন।