সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার হাটিকুমরুল এলাকায় অভিযান চালিয়ে জিনের বাদশা প্রতারক চক্রের ৫ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা হলো, ঠাকুগাঁওয়ের জগন্নাথপুর বানিয়াপুর গ্রামের কাদেরের ছেলে শফিউল আলম (৩৫) ও তার স্ত্রী ফাতেমা খাতুন (২৮), দিনাজপুরের টেরীপাড়া গ্রামের মনোয়ার হোসেন (৩২), পাবনার সৈয়দপুর দক্ষিণপাড়া গ্রামের সাহেব আলীর ছেলে মজিবর রহমান (৩৬) ও বন্দের আলী সরদারের ছেলে আকাশ (২৮)। গত শনিবার বিকালে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (রায়গঞ্জ সার্কেল) বিনয় কুমার ও সলঙ্গা থানার ওসি এনামুল হক এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। প্রেস ব্রিফিংয়ে বলা হয়েছে, গ্রেপ্তারকৃত ওই চক্রের সদস্যরা গ্রাম এলাকার সহজ সর?ল মানুষের গুপ্তধন পাইয়ে দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছিল। প্রায় দেড় সপ্তাহ আগে প্রতারক চক্রের সদস্যরা পাবনার ভাটিকয়া গ্রামে রেজাউল হকের বাড়ির পাশে মাটির নিচ থেকে একটি পিতলের পাতিল উদ্ধার করে এবং এতে স্বর্ণ-মুদ্রা রয়েছে মর্মে রেজাউলের বাবার হাতে তুলে দেয়া হয়। কিন্তু পূর্ব থেকেই পাতিলে রাসায়নিক পদার্থ থাকায় উত্তপ্ত পাতিল হাতে নেয়ার সঙ্গে সঙ্গে তার বাবার হাত পুড়ে যায়। এ সময় প্রতারক চক্রের সদস্যারা জানায়, গুপ্তধন এখনো কাঁচা রয়েছে এবং জাদুমন্ত্র দিয়ে পাকা করতে হবে। প্রতারকরা এ পাতিল পানি দিয়ে ঠান্ডা করে পুঁতে রাখতে বলে এবং পাকা করার পর গুপ্তধন ব্যবহার উপযোগী হবে। তাদের বাড়িতে আরো গুপ্তধন রয়েছে। এগুলো জিনের মাধ্যমে উদ্ধার করতে হবে। গুপ্তধনে ১৮টি স্বর্ণমুদ্রা রয়েছে। ৫ লাখ টাকা দিলে ওই স্বর্ণমুদ্রা উদ্ধার করে দেয়া হবে। এ কথায় রেজাউল তাদের নগদ ৪০ হাজার টাকা দিয়ে কথিত গুপ্তধনের পাতিলটি নিজেদের কাছে রাখে এবং ১০ দিন পর ওই কাঁচা গুপ্তধন পাকা করাসহ আরো গুপ্তধন উদ্ধারের জন্য ৫০ হাজার টাকা দেয়ার কথা বলে। ওই চক্র সেদিন তার কাছ থেকে ৪০ হাজার টাকা নিয়ে চলে যায়। পরবর্তী আরো বাকি ৫০ হাজার টাকা নেওয়ার জন্য গত শনিবার সকালে আমিনপুর যাওয়ার পথে হাটিকুমরুল গোলচত্বর এলাকায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৬টি সোনালি রঙের মূর্তি ও বিভিন্ন ধরনের আয়ুর্বেদিক ওষুধ উদ্ধার করা হয়। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা হয়েছে।