এসআই নিয়োগে ৮৮টি পদ সংরক্ষণের নির্দেশ
প্রকাশ : ১৬ মে ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলাদেশ পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র) পদের নিয়োগে সর্বশেষ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত পদ থেকে ৮৮টি পদ সংরক্ষণের (শূন্য রাখার) নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ সংক্রান্ত এক সম্পূরক আবেদনের শুনানি নিয়ে গতকাল বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী বি. এম ইলিয়াস। তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মো. মনিরুল ইসলাম মিয়া। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশ গুপ্ত।
পরে আইনজীবী মো. মনিরুল ইসলাম মিয়া বলেন, ২০২৩ সালের ৩ মে পুলিশের নন-ক্যাডার সাব ইন্সপেক্টর-এসআই (নিরস্ত্র) পদে জনবল নিয়োগ দিতে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অনলাইনে আবেদন করেন চাকরিপ্রার্থীরা। ওয়েব স্ক্রিনিং পাস করে ২০২৩ সালের ৬ থেকে ৮ জুন ৩ দিনের শারীরিক পরীক্ষায় অংশ নেন তার। ওই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে লিখিত পরীক্ষার জন্য অনলাইনে আবেদন করেন। এরপর ২ দিনের লিখিত ও মনস্তত্ব পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ৫ হাজার ৮৩৯ জন উত্তীর্ণ হন। পরবর্তীতে কম্পিউটার টেস্টে অংশ নিয়ে উত্তীর্ণ হন ৫ হাজার ৩১ জন।
একই বছরের ১৯ আগস্ট থেকে ১০ অক্টোবর পর্যন্ত মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় এবং সে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ শেষে একই বছরের ১৩ অক্টোবর ৫ হাজার ৩১ জন প্রার্থীর মধ্যে ৯২১ জনকে নিয়োগ দিতে প্রাথমিকভাবে সুপারিশ করা হয়।
২০২৩ সালের ১৭ থেকে ২৩ অক্টোবর স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে ৮৫৭ জন চূড়ান্তভাবে নিয়োগেরর জন্য সুপারিশপ্রাপ্ত হন। কিন্তু ২০২৩ সালের ৪ নভেম্বর রাজশাহীর সারদায় মৌলিক প্রশিক্ষণে অংশ নিতে ৮২৩ জন যোগদান করে।
আইনজীবী মনিরুল ইসলাম আরো বলেন, বাংলাদেশ পুলিশের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজসহ কয়েকটি অনলাইন পত্রিকার প্রাপ্ত তথ্য মতে, ১ হাজার ৪০০ জনের বেশি শূন্য পদ থাকা সত্ত্বেও সারদায় আবাসন সংকটের জন্য ৯২১ জনকে প্রাথমিকভাবে সুপারিশ করা হয়েছে। এদিকে ২০২১ সালের ৩৯তম এসআই (নিরস্ত্র) নিয়োগের পর ২০২২ সালের বাংলাদেশ পুলিশের এক পরিসংখ্যানে অনুযায়ী এসআই (নিরস্ত্র) শূন্য পদ সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৩২০ জন। বিজ্ঞপ্তিতে শূন্য পদের নিয়োগ বলা থাকলেও ওই নিয়োগে শূন্য পদ পূরণ হয়নি। আবাসন সংকটের জন্য ৯২১ জনকে প্রাথমিকভাবে সুপারিশ করলেও যোগদান করেন ৮২৩ জন, যা চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত থেকে আরো ৯৮ জন কম। কিন্তু শারীরিক পরীক্ষা, লিখিত, মনস্তত্ব পরীক্ষা ও কম্পিউটার টেস্টে অংশ নিয়ে সফলতার সঙ্গে উত্তীর্ণ হওয়ার পরও প্রার্থীদের সুপারিশ করা হয়নি। এরপর মনস্তত্ব পরীক্ষা ও কম্পিউটার টেস্টে উত্তীর্ণ হয়ে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত না হওয়া মো. এখলাছ চৌধুরীসহ ৮৮ জন ২০২৩ সালের ১৭ ডিসেম্বর হাইকোর্ট রিট দায়ের করেন। ওই রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে হাইকোর্ট ২০২৩ সালের ১৭ ডিসেম্বর রুল জারি করেন।