জবিতে সাহিত্য-শিল্পবিষয়ক আন্তর্জাতিক সেমিনার অনুষ্ঠিত
প্রকাশ : ১৬ মে ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
জবি প্রতিনিধি
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচিত সাহিত্যের কর্ম ও গবেষণার বিষয়াবলি নিয়ে সাহিত্য-শিল্প বিষয়ক আন্তর্জাতিক সেমিনার আয়োজন করা হয়েছে। গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে বাংলা বিভাগের আয়োজনে ‘অনিঃশেষ রবীন্দ্রনাথ : গবেষণার মুক্ত ক্ষেত্রসমূহ’ শীর্ষক এ সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সহযোগিতা করেন সিটি ব্যাংক।
সেমিনারে বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মিল্টন বিশ্বাসের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. হোসনে আরা বেগম। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, রবীন্দ্রনাথ সাহিত্যের সব স্তরে বিচরণ করেছেন। তাই রবীন্দ্রনাথ অনিঃশেষ। ছোটগল্পের কাব্যিক সঙ্গা দিয়েছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। রবীন্দ্রনাথের ছোটগল্প ও গানের মধ্যেই অনবদ্য এবং অবিস্মরণীয় হয়ে আছেন। তিনি আরো বলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নাটক, কাব্যনাট্য, প্রবন্ধ, উপন্যাস রচনায় অনন্য কৃতিত্ব রেখেছেন। কিছু শব্দ যেমন- ক্ষুদ্রঋণ, বৃক্ষরোপণ রবীন্দ্রনাথের সৃষ্টি। রবীন্দ্রনাথের প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসা, শিক্ষাভাবনা নিয়ে গবেষণার বিষয়।
মুখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন কবি, গবেষক ও বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রাবন্ধিক অধ্যাপক ড. মাসুদুজ্জামান। তিনি বলেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের একটি বইয়ে রবীন্দ্রনাথের তিনটি পর্বের উল্লেখ করেছেন। প্রথম পর্বে রবীন্দ্রনাথ ব্রিটিশদের সমর্থন করেছেন। মধ্য পর্বে তিনি ব্রিটিশদের সমর্থন নিয়ে দ্বিধায় ছিলেন। শেষ পর্বে তিনি ব্রিটিশদের বিরোধিতা করেছেন।
তিনি বলেন, রবীন্দ্রনাথের চিঠিপত্র নিয়েও গবেষণা করা যায়। রবীন্দ্রনাথের ভ্রমণ ও বিশ্বপথিক, সংগীত, নারীর ক্ষমতায়ন, সম্পাদনা, চলচ্চিত্র, রাজনৈতিক ও সামাজিক চিন্তা এবং রবীন্দ্রনাথের সমসাময়িক প্রেক্ষাপট নিয়ে গবেষণা হয়নি। তাত্ত্বিক ও নৃতাত্ত্বিক দিক থেকেও রবীন্দ্রনাথের ওপর গবেষণা হয়নি।
তিনি আরো বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় রবীন্দ্রনাথ বিরোধিতা করেননি। যারা এই তথ্য ছড়াচ্ছেন তা তথ্য না জেনেই ছড়াচ্ছেন। এমনকি রবীন্দ্রনাথ মুসলমান বিদ্বেষী ছিলেন না। এ বিষয়ে তিনি কালিদাস নাগকে লেখা রবীন্দ্রনাথের হিন্দু-মুসলমান নিয়ে চিঠির কথা বলেন।