তারুণ্যের মাঝে কম্পিউটার দক্ষতা বাড়াতে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ
প্রকাশ : ১৭ মে ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার
জান্নাতুল নাঈম কক্সবাজার উত্তরণ কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। গ্রামে বড় হয়েছে বলে কম্পিউটার কিংবা তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক অ্যাপসের সুযোগ-সুবিধা থেকে দূরে ছিল। সে এবার কলেজে পেতে যাচ্ছে কম্পিটার ও ডিজিটাল অ্যাপস ব্যবহারের সুবিধা। কম্পিউটারের সামনে বসে কিছুক্ষণ কাজ করতে পেরে তার আগ্রহ বেড়ে যায়। তার মতে, জীবনে উন্নতি করার ক্ষেত্রে কম্পিউটার দক্ষতা প্রয়োজন। তাই জান্নাতুল নাঈম নিয়মিত বসতে চায় কম্পিউটারে।
গতকাল কক্সবাজার উত্তরণ কলেজ প্রঙ্গণে দুপুর ১২টায় ‘অ্যামপাওয়ারিং ইয়ুথ ইন ইনক্লসন’ প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কম্পিউটার দক্ষতা, ডিজিটাল মাধ্যমে গণতান্ত্রিক, মূল্যবোধ ও নাগরিক সচেতনতা বিষয়ে নানা ধরনের অভিমত প্রকাশ করে ওই কলেজের শিক্ষার্থীরা।
একাদশ শ্রেণির মানবিক বিভাগের তানজিমুল হোসাইন তানিম বলেন, আগে থেকে টাইপিং, এক্সেল, পাওয়ার পয়েন্ট সম্পর্কে ধারণা ছিল। এখন যদি নিয়মিত কম্পিউটার ব্যবহারের সুযোগ হয় তবে এসব দক্ষতা আরো উন্নত করা যাবে। বর্তমান সময়ে যে কোনো কাজ কিংবা চাকরির ক্ষেত্রে কম্পিউটার দক্ষতা খুবই জরুরি।
‘তারুণ্যের অংশগ্রহণে গড়ে উঠবে আগামীর নাগরিক’- এই স্লোগান সামনে রেখে কলেজের শতাধিক তরুণ শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়। এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব থিয়েটার আর্টস (বিটা)।
তারা ভ্রাম্যমাণ বাসের মাধ্যমে তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক অ্যাপসের সহায়তায় তরুণ-তরুণীদের মাঝে ক্যাম্পেইন কার্যক্রম পরিচালনা করে। উদ্বোধনী আয়োজনে প্রধান অতিথি ছিলেন কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারজানা রহমান।
তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশে সরকার নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে। এসব সুযোগ সুবিধা কাজে লাগিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। বিশ্বের কাছে বাংলাদেশকে মাথা উঁচু করে তুলতে হবে। তরুণদের হাত ধরে ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে উঠবে। আমরা এ আশা নিয়ে বাঁচি। আমরা হবো স্মার্ট নাগরিক।
উত্তরণ কলেজের অধ্যক্ষ একেএম ফজলুল করিম চৌধুরী বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য লাগবে স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট শিক্ষানীতি, স্মার্ট সমাজনীতি। তরুণদের দ্বারা এসব সম্ভব। তারা যত কর্মঠ, সৎ হবে সমাজ তত এগিয়ে যাবে। তরুণরা এগিয়ে আসলে সমাজ সুন্দর হবে, স্মার্ট হবে। ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহারের ক্ষেত্রে খারাপ পরিবেশটা পরিহার করে ভালোটা গ্রহণ করতে হবে। সুন্দর পরিবেশ মানুষকে সুন্দর করে। নিজেকে লেখাপড়ায় মনোনিবেশ করতে হবে, তথ্যপ্রযুক্তির সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিলে স্মার্ট বাংলাদেশ করা সম্ভব হবে।
বিটার নির্বাহী পরিচালক শিশির দত্ত বলেন, তরুণ-যুবাদের ডিজিটাল মাধ্যমে গণতান্ত্রিক, মূল্যবোধ ও নাগরিক সচেতনতা উদ্বুদ্ধকরণ বিষয়ক প্রকল্প ‘অ্যামপাওয়ারিং ইয়ুথ ইন ইনক্লসন’। সরকার স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণের জন্য যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে এই প্রকল্প তা ত্বরান্বিত করতে সহযোগিতা করবে। সেই সাথে তরুণ-যুবাদের উদ্বুদ্ধকরণের মাধ্যমে সুনাগরিক হিসাবে গড়ে উঠতে সহযোগিতা করবে। প্রকল্প সমন্বয়ক বাপ্পা চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উত্তরণ কলেজের শতাধিক শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও বিটার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।