টাঙ্গাইলে শুরু হয়েছে খাদ্য তালিকায় পুষ্টিগুণের শীর্ষে থাকা চিয়া ফসলের আবাদ। জেলার ভূঞাপুর উপজেলার চরাঞ্চলে এবার পরীক্ষামূলকভাবে এই দামি ফসলটির আবাদ শুরু হয়েছে। প্রথম বছরই ভালো ফলন পেয়েছেন কৃষকরা। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের পার্টনার প্রকল্পের আওতায় সেখানে শুরু হয় চিয়া ফসল আবাদ। জানা যায়, হাজারো ওষুধি গুণে ভরা চিয়া ফসলে রয়েছে খাদ্য আঁশ, প্রোটিন, এন্টি অক্সিডেন্ট, ভিটামিন, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, ফসফরাস, সেলেনিয়াম, মিনারেলসহ নানা উপাদান। যা মানব দেহের জন্য ক্যানসার, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, কোষ্ঠকাঠিন্য, রক্তের কলোস্টেরল কমানোসহ নানা রোগের প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
মহাঔষধী এই ফসলের আমদানি নির্ভরতা কমানোর লক্ষ্যে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের পার্টনার প্রকল্পের আওতায় মাত্র ১৫ শতাংশ জমিতে এবারই প্রথম চিয়া ফসল আবাদ করেন টাঙ্গাইল জেলার ভূঞাপুর উপজেলার কৃষক রফিকুল ইসলাম। সফল এই কৃষক বলেন, প্রকল্পের আওতায় আমাকে দেয়া হয় বীজ ও সারসহ আরো অন্যান্য উপকরণ। চাষ করে প্রথম বছরই বাজিমাত করেছি। ৬০ কেজি চিয়া ফসল পাওয়া গেছে। যার বাজার মূল্য কম করে হলেও ৩০ হাজার টাকা। সব মিলিয়ে আমার খরচ হয়েছে মাত্র ৫ হাজার টাকা। আগামীতে আরো জমিতে এ ফসল আবাদের পরিকল্পনা রয়েছে। আমার এ নতুন ফসল দেখতে প্রতিদিনই বিভিন্ন এলাকা থেকে কৃষকরা আসছেন। লাভজনক চিয়া ফসল আবাদ করতে অনেকেই আগ্রহ দেখাচ্ছেন। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট টাঙ্গাইলের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আশিকুর রহমান জানান, সরেজমিন গবেষণা বিভাগের তত্ত্বাবধানে টাঙ্গাইল জেলার ভূঞাপুর উপজেলায় চিয়া ফসলের পরীক্ষামূলক আবাদের জন্য দু’জন কৃষককে নির্বাচন করা হয়। এক্ষেত্রে শতভাগ সফল হয়েছেন কৃষকরা। আমদানিনির্ভর এই ফসলটি ব্যাপক হারে আবাদ করা সম্ভব হলে কৃষক লাভবান হওয়ার পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রারও সাশ্রয় হবে।