গাজার অস্থায়ী বন্দরে পৌঁছাল ত্রাণবাহী জাহাজ
প্রকাশ : ১৮ মে ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
আলোকিত ডেস্ক
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ উপকূলীয় অঞ্চলে তীব্র মানবিক সংকটের মুখোমুখি কয়েক হাজার মানুষ। ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক চাপের মধ্যে সেখানে ত্রাণবাহী ট্রাক চলাচল শুরু করেছে। গতকাল গাজা উপত্যকায় মার্কিন নির্মিত একটি অস্থায়ী ঘাট দিয়ে এই ট্রাক চলাচল শুরু হয়। খবর রয়টার্স। যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় কমান্ড (সেন্টকম) বলেছে, ত্রাণ নিয়ে আসা ট্রাকগুলো স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় (জিএমটি ৬.০০) ঘাট দিয়ে উপকূলে যেতে শুরু করে। সেন্টকম বলেছে, মার্কিন সামরিক বাহিনী আগে থেকে ইসরায়েলি বন্দর অ্যাশডোডে ভাসমান ঘাটটি একত্রিত করে রেখেছিল এবং এই সপ্তাহে গাজার তীরে তা স্থানান্তরিত করা হয়েছে, যার নিজস্ব বন্দর অবকাঠামো নেই। তবে কোনো মার্কিন সেনা তীরে যায়নি।
তারা বলেছে, ঘাটে আসা সহায়তা ‘একটি চলমান, বহুজাতিক প্রচেষ্টার’ অংশ। এতে বেশ কয়েকটি দেশ এবং মানবিক সংস্থার দান করা পণ্য থাকবে। মার্কিন প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলেছেন, ইসরায়েলি নিরাপত্তার কারণে ত্রাণগুলো পৌঁছানোর আগে সাইপ্রাসে ক্ষতিয়ে দেখার পরও অতিরিক্ত ইসরায়েলি নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। সমুদ্রপথের এই করিডোর দিয়ে দিনে গাজায় ১৫০টি ত্রাণবাহী ট্রাক পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের। তারই প্রথম ধাপে গতকাল শুক্রবার ভাসমান ঘাটে পাঠানো হয়েছে ত্রাণের ট্রাক। তবে জাতিসংঘ এবং ত্রাণ সংস্থাগুলো সতর্ক করে বলেছে, সামুদ্রিক এই করিডোরকে স্থলপথে ত্রাণ পরিবহনের বিকল্প হিসাবে ধরে নেওয়া ঠিক হবে না। কারণ, স্থলপথে আরও অনেক দ্রুত এবং কার্যকরভাবে খাবার, পানি, জ্বালানিসহ সব প্রয়োজনীয় ত্রাণ গাজায় পৌঁছানো যায়। গাজায় যুদ্ধের আগে দিনে গড়ে ৫০০টিরও বেশি ত্রাণবাহী ট্রাক গাজায় যেত। যুদ্ধের মধ্যে ত্রাণকাজ বিঘ্নিত হওয়ায় সমুদ্রে ভাসমান ঘাট তৈরি করে যুক্তরাষ্ট্র গাজায় ত্রাণ সরবরাহের পরিকল্পনা করে। মার্কিন সেনারা বৃহস্পতিবার ভাসমান ঘাট তৈরির কাজ শেষ করেছে। এর কয়েকঘণ্টা পরই যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষাদপ্তর পেন্টাগন মানবিক ত্রাণ জলদি শুরুর ঘোষণা দেয়। আগামী দিনগুলোতে গাজায় প্রায় ৫০০ টন ত্রাণ প্রবেশ করবে বলে আশা প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড। সাহায্যকারী গোষ্ঠী, জাতিসংঘ এবং ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্ররা- সবাই গাজায় সাহায্যের জন্য আরও কিছু করার দাবি করেছে, যা গত বছরের ৭ অক্টোবরে ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর শুরু হওয়া ইসরায়েলি অভিযানের কারণে অনেকটাই নষ্ট হয়ে গেছে। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, অধিকৃত পশ্চিম তীরে তারকুমিয়াহ এবং বিতুনিয়া ক্রসিং পয়েন্টের মাধ্যমে নতুন পরিদর্শন রুট খোলা হয়েছে।