স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নে টেলি যোগাযোগ সেবায় কর হার কমানো ও সাশ্রয়ী মূল্যে ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন। একইসঙ্গে ইন্টারনেটে স্বাধীনতা, নিরাপত্তা, অপব্যবহার রোধ, সবার জন্য মানসম্মত ডিজিটাল ডিভাইস নিশ্চিতে সরকার ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার সৃষ্টি করেছে সংগঠনটি। গতকাল বিশ্ব টেলিযোগাযোগ দিবস উপলক্ষ্যে প্রেসক্লাব ও ওসমানী মিলনায়তনের সামনে অবস্থান কর্মসূচিতে এসব দাবি জানানো হয়। সংগঠনের সভাপতির মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, আসন্ন ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে কথা বলার ক্ষেত্রে কর বৃদ্ধির প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়েছে। এতে গ্রাহকের উপর কর দাঁড়ায় ৩৯ শতাংশ, যা দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সর্বোচ্চ। যেখানে ভারতে ১৮ শতাংশ, দেউলিয়া রাষ্ট্র পাকিস্তানের ৩৪ দশমিক ৫ শতাংশ কর আরোপ করা আছে, যা বর্তমানে বাংলাদেশের তুলনায় এক শতাংশ বেশি। অধিক করারোপের বিরোধিতা করে তিনি বলেন, এভাবে কর আরোপ করলে স্মার্ট বাংলাদেশকে নির্মাণ করার স্বপ্ন পূরণ করা সম্ভব নয়। কারণ এখনো দেশের ৪২ শতাংশ জনগোষ্ঠী মুঠোফোন সেবায় যুক্ত নয়। সরকার যেখানে দেশের সব প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট সেবায় অন্তর্ভুক্ত করতে চাচ্ছে সেখানে উচ্চকর হার জনগণকে এই সেবা থেকে বঞ্চিত করবে। তাছাড়া আমাদের ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের ওপর কোনোভাবেই যাতে করারোপ না করা হয় সে ব্যাপারে সরকারকে চিন্তা করতে হবে। বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বলেন, সরকার দেশের প্রত্যেক ঘরে ঘরে ব্রডব্যান্ড কানেক্টিভিটি পৌঁছে দিতে চায়। সেখানে দাম বাড়ালে ব্রডব্যান্ড কানেক্টিভিটি মুখ থুবড়ে পড়বে। তাই কর না বাড়িয়ে কীভাবে কমানো যায় এবং সকল জনগোষ্ঠীকে টেলিযোগাযোগ সেবায় অন্তর্ভুক্ত করা যায় তার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।