মৌলভীবাজারে পুলিশ লাইন্সে পোড়ামাটির শিল্পকর্ম উদ্বোধন
প্রকাশ : ১৯ মে ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
মৌলভীবাজারে পুলিশ লাইনে বায়ান্নের ভাষা আন্দোলন থেকে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত বিভিন্ন পোড়ামাটির শিল্পকর্ম উদ্বোধন করেছেন আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন।
গতকাল সকালে মৌলভীবাজার জগন্নাথপুর এলাকায় অবস্থিত পুলিশ লাইনে পোড়ামাটির শিল্পকর্মটি উদ্বোধন করা হয়।
মৌলভীবাজার পুলিশ সুপার মনজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার শাহ মিজান শফিউর রহমান, মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক ড. উর্মি বিনতে সালাম, ডিআইজি, সিলেট রেঞ্জ এসএমপি, শাহ মিজান শাফিউর রহমান, ডিআইজি, সিলেট রেঞ্জ, মো: জাকির হোসেন খান, পুলিশ কমিশনার, সৈয়দ হারুনুর রশিদ, অতিরিক্ত ডিআইজি ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ-৮ পুলিশ সুপার মো: রওশনুজ্জামান সিদ্দিকী, অতিরিক্ত ডিআইজি (প্রশাসন ও অর্থ) ও মো: নাসির উদ্দিন আহমেদ, অতিরিক্ত ডিআইজি, মো: হুমায়ুন কবির প্রমুখ।
এতে বায়ান্নের ভাষা আন্দোলন থেকে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ তুলে ধরা হয়। মৌলভীবাজারের চা বাগান ও পর্যটন আকর্ষণ উঠে আসে এই শিল্পকর্মে।
নির্মিত টেরাকোটার কোনোটা বড় আকারের মুখোশ, কোনোটা নারীর গড়ন। মাঝখানে বড় পরিসরে নির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের তেজোদীপ্ত তর্জনী। ৬০ ফুট দৈর্ঘ্য ও পাঁচ ফুট প্রস্থের এ শিল্পকর্মে রয়েছে বন্দুক হাতে দাঁড়িয়ে থাকা যোদ্ধারা। এক প্রাস্তে ৮ ডিসেম্বর ৭১-এর শীতের সকালে একটি নতুন উদীয়মান সূর্যের উন্মোচন। আন্দোলন এবং স্বাধীনতার জন্য ৯ মাসের লড়াইয়ে মৌলভীবাজার হানাদারমুক্ত দিবসে বিজয় উল্লাসের স্মৃতিপট।
পোড়ামাটির শিল্প মানবসভ্যতার জন্মলগ্নের চিহ্ন বয়ে চলেছে। পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশে মৌর্য ও গুপ্ত সাম্রাজ্যেও টেরাকোটা ছিল। পোড়ামাটির শিল্পসামগ্রী দিয়েই প্রাচীন সভ্যতার কাল নির্ণয় করা হয়ে থাকে। টেরাকোটা একটি লাতিন শব্দ। টেরা অর্থ মাটি আর কোটা অর্থ পোড়ানো। অর্থাৎ ‘টেরাকোটা’ শব্দটির অর্থ হলো ‘পোড়ামাটি’। তাই টেরাকোটা শিল্প বলতে বোঝায় পোড়ামাটির শিল্পকর্ম। বাংলাদেশ সরকার ঐত্যিহ্যবাহী এই শিল্পকর্মের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে দেশে পোড়ামাটির শিল্প বিকাশে নানা ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে।