ঢাকা ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ঠাকুরগাঁওয়ে নিবির হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ

ঠাকুরগাঁওয়ে নিবির হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ

ঠাকুরগাঁও পৌর শহরের মাদ্রাসাপাড়া মহল্লার ১২ বছরের শিশু নিবির হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ। এই ঘটনার সাথে জড়িত ছদ্মনাম আকাশকে (১৪) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত শুক্রবার বিকালে ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার উত্তম প্রসাদ পাঠক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।

প্রেস রিলিজে জানানো হয়, ঘটনার দিন চলতি বছরের ১৮ এপ্রিল গত বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে আকাশ ও নিবির বাইসাইকেল যোগে ওষুধ ক্রয়ের উদ্দেশ্যে বাসস্ট্যান্ড যাওয়ার পথে তার বাড়ীর সামনে দেখতে পেয়ে তার সাথে যাওয়ার প্রস্তাব দেয়। তারা বাইসাইকেল যোগে ওষুধ ক্রয়ের উদ্দেশ্যে ঠাকুরগাঁও বাসস্ট্যান্ডে যায়। ঔষধের মূল্য বেশি হওয়ায় তারা ওষুধ ক্রয় করতে না পেরে বাড়িতে চলে আসে। আকাশ তার নিজ বাড়িতে চলে যায়। পরে নিবির শেখ তার বাড়িতে রুটি খেয়ে দুপুরে পূনরায় খেলাধুলার উদ্দেশ্যে আকাশ এর বাড়িতে যায়। আকাশের বাড়ির ভেতর টিনের একচালা রান্নাঘরে মারবেল নিয়ে খেলার একপর্যায়ে উভয়ের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ হয়। এর একপর্যায় নিবির শেখকে মাটিতে ফেলে আকাশ বুকের ওপর উঠে দুই হাত দিয়ে নিবির শেখের গলা চেপে ধরে। এতে শ্বাসরোধ হয়ে নিবির মারা যায়। পরে আকাশ নিবির শেখের মৃত্যুর বিষয়টি বুঝতে পারে। এক সময় নিবিরের মরদেহ গোপন করার উদ্দেশ্যে দুইটি প্লাস্টিকের বস্তায় ঢুকিয়ে বাড়ির পেছনে গলিতে ফেলে রাখে এবং নিবির শেখের পরনে থাকা কালো, সাদা ও লাল রঙের একজোড়া স্যান্ডেল বাড়ির প্রাচীরের উপর দিয়া পশ্চিম দিকের জঙ্গলে ফেলে দেয়। পরের দিন ১৯ এপ্রিল শুক্রবার সন্ধ্যায় নিবিরের মরদেহ আকাশ বাড়ির পেছনে পশ্চিমে গলিতে ফেলে রাখে। পরে পুলিশ দুটি বস্তা, জুতা এবং ২০৯ পিস কাঁচের মার্বেল উদ্ধার করে।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার নিবির বাসা থেকে বের হলে আর ফেরেনি। পরে নিখোঁজের দুই দিন পর শনিবার (২০ এপ্রিল) ভোরে নিবিরের মরদেহ বাসার পাশে গলিতে দেখতে পায়। পরে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ এসে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত