সিরাজগঞ্জে প্রচণ্ড ভ্যাপসা গরমে এখন জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। গ্রীষ্মের এ গরমে বিশেষ করে তালের শাঁসের কদর বাড়ছে। এ তালের শাঁস শুধু শহরাঞ্চলে নয়, গ্রামঞ্চলের হাট-বাজারেও ব্যাপক কদর রয়েছে। জেলা শহরের বাজার, স্টেশন, চৌরাস্তা, বড়পুল চত্বর, বাহিরগোলা, কালিবাড়ী, চাঁদ আলী মোড়, কাজিপুর মোড়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনে এ তালের শাঁস বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া জেলার উপজেলা শহরসহ বিভিন্ন স্থানে এ তালের শাঁস বিক্রি হচ্ছে। একাধিক তালের শাঁস বিক্রেতা জানান, কয়েকদিন ধরে আবারো এ প্রচণ্ড গরমের প্রভাব পড়েছে। শহর ও গ্রামঞ্চলের কৃষক ও শ্রমিকরা এ গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। এ ভ্যাপসা গরম নিবারণে তালের শাঁস ও বিভিন্ন রকমের শরবতসহ ঠান্ডা জাতীয় খাদ্যসামগ্রীর মূল্য বাড়ছে। ক্লান্ত শরীরে তালের শাঁসসহ ঠান্ডা জাতীয় খাদ্যসামগ্রী পান করছে পথচারীরা। বিশেষ করে তালের শাঁসের কদর বাড়ছে বেশি। জেলার তাড়াশ ও রায়গঞ্জসহ বিভিন্ন স্থান থেকে গাছওয়ারি পাইকারি দরে এ কচি তাল ক্রয় করে এবং তালের শাঁস শহর ও গ্রামঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করছে। পরিবহন খরচসহ প্রতিটি তালের শাঁসের দাম পড়ে ৭ থেকে ৮ টাকা আর বিক্রি করি প্রতি পিচ ১০ টাকা। তবে শাঁস বিক্রয়ের লাভ বেশি হলেও দেড় থেকে ২ মাস এ ব্যবসা করা যায় এবং গরমের প্রভাব পড়লে এ তালের শাঁসের কদর বাড়ে।
এ বিষয়ে স্থানীয় চিকিৎসকরা বলছেন, তালের শাঁস শুধু সুস্বাদুই নয়। এতে রয়েছে অবিশ্বাস্য পুষ্টিগুণ ও স্বাস্থ্য উপকারিতা। মৌসুমি ফল হিসেবে তালের শাঁস মানবদেহকে বিভিন্ন রোগ থেকে দূরে রাখে এবং রোগ-প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ায় বলে তারা উল্লেখ করেন।