ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

বারোমাসি লেবু চাষে সফল কালীগঞ্জের সোহান

বারোমাসি লেবু চাষে সফল কালীগঞ্জের সোহান

গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার তুমলিয়া ইউনিয়নের চুয়ারিয়াখোলা গ্রামের মো. মোনাব্বরের ছেলে সোহান। পেশায় তিনি ইলেকট্রিশিয়ান। তবে কৃষি তার শখের জায়গা। শখের বসেই করেছেন বারোমাসি লেবু বাগান। এখন তিনি সফল একজন লেবু চাষি। তাকে দেখে এগিয়ে আসছেন আশপাশের বেকার যুবকরা। জানা যায়, কলম্বো, কাগজি, হাইব্রিড কাগজি, গোল কাগজি, সিডলেস, চায়না থ্রি, গন্ধরাজ, জারা ও এলাচি জাতের বারোমাসি লেবু চাষে লাভবান হয়েছেন সোহান। এ লেবু গাজীপুরসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় বিক্রি হয়। এছাড়া মাঝে মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশেও যায়। এ লেবু বেচাকেনার সঙ্গে জড়িতরাও ভালো টাকা আয় করছেন। সোহান বলেন, ‘আমি যার কাছে ইলেকট্রিক কাজ শিখতাম, তার কাছে আমার ৮৫০ টাকা মজুরি বাকি ছিল। তিনিও কাজের পাশাপাশি বারোমাসি বিভিন্ন জাতের লেবু চাষ করতেন। আমার কাজের মজুরি দিতে দেরি হওয়ায় টাকার পরিবর্তে ওই পরিমাণ ২০টি লেবু চারা দিতে বলি। তিনি আমাকে তিনটি জাতের ২০টি লেবু চারা দেন। সেটা ২০১৭ সালের কথা। স্থানীয় কৃষি অফিসের পরামর্শে ওই লেবু চারা নিয়ে ৫ শতক জমিতে চাষ শুরু করি।’ তিনি বলেন, ‘এখন আমার বাগানে ৯ জাতের ৫০টিরও বেশি বারোমাসি লেবুগাছ আছে। বারোমাসি লেবু চারা ছাড়া অন্যগুলো কেটে ফেলেছি। এখন শুধু বারোমাসি লেবুর গাছ আছে। অসময়ে লেবু বিক্রির পাশাপাশি লেবুর চারা বিক্রি করে অনেক ভালো আছি। আমার বাড়ির ও গ্রামের আশপাশের প্রতিবেশী ও বেকার যুবকরা আমার কাছ থেকে চারা ও পরামর্শ নিয়ে লেবু চাষ শুরু করেছেন।’ সোহান আরো বলেন, ‘ফাল্গুন, চৈত্র ও বৈশাখ মাসে লেবুর চাহিদা সবচেয়ে বেশি। তখন প্রতিটি লেবু ৭ থেকে ১০ টাকা দরে বিক্রি করি। ওই ৩ মাসে লেবু বিক্রি করে ভালো টাকা আয় হয়। তাছাড়া অফ সিজনে ১ হালি লেবু ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়। পাশাপাশি লেবু গাছের কাটিং বিক্রি করেও ভালো আয় হয়।’ তিনি বলেন, ‘পাইকাররা বাগানে এসে নগদ টাকায় লেবু কিনে নিয়ে যান। তারা স্থানীয় বাজার এবং ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় বিক্রি করেন। কিছু লেবুর জাতে কোনো বিচি নেই। এছাড়া লেবুতে প্রচুর রস আছে। বাজারে আমার লেবুর ব্যাপক চাহিদা আছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত