সিরাজগঞ্জের দুটি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ২১৫টি ভোটকেন্দ্রে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ দুই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৫ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত দুটি উপজেলার কেন্দ্রসমূহে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এ ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সিরাজগঞ্জের ওই দুটি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কেন্দ্রসমূহে ভোটারদের উপস্থিতি সংখ্যা কিছুটা কম ছিল। কেন্দ্রের বাইরে ছোটোখাটো দুয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটলেও কোনো কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলার ঘটনা ঘটেনি। উল্লাপাড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নবী নেওয়াজ খান (হেলিকপ্টার), আকমল হোসেন (আনারস), জহুরুল ইসলাম মিল্টন (দোয়াত কলম), সেলিনা মির্জা (মোটরসাইকেল), হেদায়েত আহম্মেদ (ঘোড়া) চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এবং ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এ উপজেলায় ভোটার সংখ্যা ৪৫০২৮৬ জন এবং কেন্দ্র সংখ্যা ১৪৪টি। তাড়াশ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মনিরুজ্জামান (দোয়াত কলম) ও সনজিৎ কুমার কর্মকার (আনারস) চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এবং ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে সাত প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এ উপজেলায় ভোটার সংখ্যা ১৫ লাখ ৮ হাজার ৬২৬ জন এবং ভোটকেন্দ্র সংখ্যা ৭১টি। জেলা প্রশাসন কেন্দ্রসমূহে কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেয়া হয়। জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মন্ডল, রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) গণপতি রায় ওই দুটি উপজেলার বিভিন্ন ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন।
এদিকে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, ওই দুটি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভোটকেন্দ্রসমূহে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও আনসার মোতায়েনসহ স্টাইকিং ফোর্স দায়িত্ব পালন করেছেন বলে তিনি উল্লেখ করেন।
