নারায়ণণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে স্বামীকে পরকীয়ায় বাধা দেওয়ায় দুই সন্তানের জননী সালমা আক্তার নামে এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে স্বামী রূপচাঁনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় সোনারগাঁও থানার পুলিশ ঘাতক স্বামী রূপচাঁনকে আটক করেছে। গতকাল ভোরে উপজেলার পৌরসভা এলাকার ভট্টপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় ও নিহতের পরিবারের দাবি, অভিযুক্ত স্বামী রূপচাঁন দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় একটি কারখানায় চাকরি করা এক নারীর সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িত ছিল। গোপনে চলতে থাকে তাদের অবৈধ মেলামেশা। পরকীয়ার সম্পর্কটি প্রকাশ্যে এলে সালমা প্রায়ই প্রতিবাদ করতেন এবং তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহের সৃষ্টি হয়। নিহতের ছেলে আব্দুল্লাহ আরবান কাইফি জানান, আমার বাবা দীর্ঘ দিন ধরে পরকীয়ার সঙ্গে জড়িত ছিল। এই নিয়ে প্রায়ই ঝগড়া হতো। কিছুদিন আগেও মাকে অনেক মারধর করেছে। পরে আমি আমার নানির বাড়ির আত্মীয়দের জানিয়েছি। তারা বলছিল ঈদের পর বসবে কিন্তু গতকাল আমার মাকে মেরেই ফেলল। এ ব্যাপারে নিহতের বড় ভাই কণ্ঠশিল্পী রিপন খান জানান, ২০০৫ সালে আমার বোনের ভট্টপুর গ্রামের সোনামিয়ার ছেলে রূপচাঁনের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। সংসার জীবনে তাদের দুটি সন্তান রয়েছে। একটি গার্মেন্টস কারখানায় কাজ করার সুবাধে সে গত কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন মেয়ের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। বাধা দিলে প্রায়ই আমার বোনকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করত। এরই জের ধরে গত বৃহস্পতিবার রাতে আমার বোনের সঙ্গে ঝগড়া হয়। গতকাল সকালে বাড়ির সামনে একটি পুকুরের পাড় থেকে আমার বোনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। আমি এ হত্যার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। সোনারগাঁও থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মহসিন মিয়া জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে অভিযোগে স্বামীকে আটক করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর রহস্য উদ্ঘাটন করা যাবে।