কক্সবাজারের টেকনাফে ঝর্ণা দেখতে গিয়ে দুই দর্শনার্থীসহ তিনজন অপহরণের শিকার হয়েছেন। পরে মারধরের শিকার হয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় একজন পালিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছেন। ঘটনার পরপরই পুলিশ অভিযান শুরু করলেও এখনো অপহৃত দুইজনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। গতকাল শুক্রবার টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের নোয়াখালিয়া পাড়াস্থ বাঘঘোনা ঝর্ণা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানান টেকনাফ থানার ওসি মুহাম্মদ ওসমান গনি।
অপহৃতরা হলেন চট্টগ্রাম জেলার সাতকানিয়া উপজেলার পূর্ব রূপকানিয়া এলাকার মো. মোস্তাক আহমদের ছেলে মোহাম্মদ রিদওয়ান (২২) এবং কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের নোয়াখালিয়া পাড়াস্থ বাঘঘোনা এলাকার মৃত আব্দুল মালেকের ছেলে রিদওয়ান (১৮)।
মারধরের শিকার হয়ে অপহরণকারীদের কবল থেকে পালিয়ে আসা যুবক হলেন চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার পূর্ব রূপকানিয়া এলাকার মো. মোস্তাক আহমদের ছেলে মো. ফজলুল করিম রিয়াদ (৩৫)। তিনি অপহৃত মোহাম্মদ রিদওয়ানের (২২) বড় ভাই। অপহৃত স্থানীয় যুবক মোহাম্মদ রিদওয়ান দুই ভাইয়ের দোকানের কর্মচারী। পুলিশ জানিয়েছে, অপহৃত দুই ভাই মো. ফজলুল করিম রিয়াদ ও মোহাম্মদ রিদওয়ান ব্যবসায়িক সূত্রে বাহারছড়া ইউনিয়নের নোয়াখালিয়া পাড়ায় অবস্থান করেন। সেখানে তাদের ব্যবসায়িক একটি দোকান রয়েছে। স্থানীয়দের বরাতে ওসি মুহাম্মদ ওসমান গনি বলেন, গতকাল শুক্রবার বিকালে টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের বাঘঘোনা এলাকায় দুই ভাই ফজলুল করিম রিয়াদ ও মোহাম্মদ রিদওয়ান মিলে তাদের কর্মচারী স্থানীয় যুবক মোহাম্মদ রিদওয়ান (১৮) সঙ্গে নিয়ে ঝর্ণা দেখতে যান। এক পর্যায়ে ঝর্ণা এলাকা থেকে মুখোশধারী চার থেকে পাঁচজনের একদল দুর্বৃত্ত অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নিয়ে যায়। অপহৃতদের গহিন পাহাড়ি এলাকার ভেতরে নিয়ে যাওয়ার সময় ফজলুল করিম রিয়াদ পালিয়ে আসার চেষ্টা করলে অপহরণকারীরা তাকে মারধর করে। এতে তিনি রক্তাক্ত হয়ে আঘাতপ্রাপ্ত হন। পরে তিনি কৌশলে পালিয়ে আসতে সক্ষম হলেও অপর দুইজনকে অপহরণকারীরা নিয়ে যায়।
ওসি বলেন, অপহরণকারীদের কবল থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় পালিয়ে আসা ফজলুল করিম রিয়াদ স্থানীয়রা উদ্ধার করে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ওসমান গনি জানান, ঘটনার খবর শুনে অপহৃতদের উদ্ধারে পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান শুরু করে। টেকনাফে বাহারছড়া ইউনিয়নের গহিন পাহাড়ের সম্ভাব্য বিভিন্ন স্থানে পুলিশ অভিযান চালালেও অপহৃতদের উদ্ধার করা যায়নি। সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসায় আপাতত পুলিশ পাহাড়ে অভিযান স্থগিত রেখেছে। তবে আরো অতিরিক্ত পুলিশ সদস্যদের রাতেই সাঁড়াশি অভিযান শুরু করা হবে বলে জানান তিনি।
