চাঁদপুরে জবাইয়ের পর বকরি হয়ে যাচ্ছে খাসি

প্রতারিত হচ্ছেন ভোক্তা

প্রকাশ : ২৫ মে ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  চাঁদপুর প্রতিনিধি

চাঁদপুর শহরের পালবাজারে বকরি ছাগলকে খাসি বলে বিক্রি করায় ভোক্তারা প্রতিনিয়ত প্রতারিত হচ্ছেন। শরিয়তপুরের সখিপুর থেকে আনা হচ্ছে এসব বকরি ছাগল। ভোজন রসিকদের খাসির চাহিদাকে কাজে লাগিয়ে সাধারণ ভোক্তার সরল বিশ্বাসকে পুঁজি করে বাজারের কতিপয় অসাধু চক্রটি মোটাদাগে এই প্রতারণায় মুনাফা হাতিয়ে নিচ্ছে। গতকাল সকালে পালবাজারে অবস্থান নিলে ভোক্তারা বকরি ছাগলকে খাসি বলে বিক্রির প্রতারণার অভিযোগ তোলেন।

ক্রেতা শ্যামল, আলমগীর, পার্থসহ আরো অনেকে জানান, পালবাজারে খাসির মাংস কিনতে গিয়ে প্রতিনিয়ত প্রতারিত হচ্ছি। ওজনে কম, মাংসে পানি প্রয়োগ, বকরির মাংস খাসি বলে চালিয়ে দেয়া, খাসির মাংসে বকরি মিশিয়ে বিক্রি, ক্রেতার ওগোচরে চর্বি, হাড় ও খাওয়ার অযোগ্য অংশ মিশিয়ে বিক্রি যেন এ বাজারে নিয়মে পরিণত হয়েছে। এরমধ্যে মহামারি ধারণ করেছে খাসির নামে বকরি ছাগলের মাংস বিক্রি। জানা যায়, পালবাজারে জাকির বেপারী, হানিফ ঢালী, খলিল বেপারী, আলমগীর বেপারী ও সুফিয়ান বেপারী দীর্ঘদিন ধরে খাসি বিক্রির নামে বকরি বিক্রি করে লোক ঠকাচ্ছেন। অনেক সময় এরা না থাকলেও তাদের দোকানের কর্মচারী কসাইরা একই কায়দায় লোক ঠকাচ্ছে। তাই এই প্রতারকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ চাচ্ছেন ভুক্তভোগীরা। সরজমিনে দেখা যায়, যারা মাংস চিনে ফেলছে তাদের কাছে বকরি ছাগলের মাংস ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকা বিক্রি করা হচ্ছে। আর যারা চিনতে পারছে না, তাদের কাছে এই বকরির মাংসই খাসির মাংস বলে ১১০০ হতে ১২০০ টাকা দাম কেজি প্রতি রাখা হচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাজারের ব্যবসায়ীরা জানায়, শরিয়তপুরের সখিপুর থেকে রোগা ও দুর্বল বকরি ছাগলগুলো কিনে আনেন এ পালবাজারের খাসি বিক্রেতারা।