সরকারের পেনশন-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনকে বৈষম্যমূলক দাবি করে তা বাতিলের দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। গতকাল দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মৃতি চিরন্তন চত্বরে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা। সমাবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোতালেব বলেন, বঙ্গবন্ধু বলেছেন শিক্ষা খাতে বিনিয়োগের চেয়ে আর বড় কোনো বিনিয়োগ হতে পারে না। বঙ্গবন্ধু তার কথা রেখেছেন। বঙ্গবন্ধুর যোগ্য কন্যার কাছে আমাদের আবেদন- আপনি এই বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন পুনর্বিবেচনা করবেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কখনো কোনো অন্যায়কে প্রশ্রয় দেয় না। ভবিষ্যতেও দেবে না। এ সময় তিনি পেনশন স্কিম প্রত্যাহারের দাবিতে আগামী ৪ জুন সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী সকাল ১১টা থেকে ১টা কর্মবিরতি পালন করবেন বলে জানান। তারপরও দাবি আদায় না হলে লাগাতার কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি। সমাবেশে কর্মচারী সমিতির সভাপতি সরোয়ার মোর্শেদ বলেন, আমরা যখন অবসরে যাই তখন আমাদের একটা ভাতা দেওয়া হয়। কিন্তু প্রত্যয় স্কিমে আমাদের সেরকম কোনো দিকনির্দেশনা নেই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধুর বিশ্ববিদ্যালয়। আমরা প্রধানমন্ত্রীকে আহ্বান করব, আপনি প্রত্যয় স্কিমের নির্দেশনা পুনর্বিবেচনা করবেন। এছাড়া বৈষম্যমূলক পে-স্কেল বাতিল করে একটি বৈষম্যহীন পে-স্কেল ঘোষণা করবেন। সমাবেশে কর্মচারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন বলেন, আজকে নতুন করে আমাদের পে-স্কেল দেওয়ার কথা। ২০১৫ সালে আমরা পে স্কেল পেয়েছি তখন অনেক বৈষম্য হয়েছে, যা আজও দূর করা হয়নি। এখন নতুন পে-স্কেল না দিয়ে আমাদের ওপর বৈষম্যমূলক পেনশন চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আমাদের ওপর এই অন্যায় কখনো মেনে নেয়া হবে না।