পাবনার ঈশ্বরদীতে সুমনা খাতুন (১৯) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের মহাদেবপুর গ্রামের শ্বশুরবাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সুমনা খাতুন মহাদেবপুর গ্রামের মো. সম্রাট হোসেনের স্ত্রী ও পৌর শহরের ইস্তা এলাকার সুজন হোসেনের মেয়ে। সুমনার পরিবারের সদস্যদের দাবি তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
সুমনার পরিবারের সদস্যরা জানান, আট মাস আগে পারিবারিকভাবে সম্রাট ও সুমনার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের দাবিতে সুমনাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে অত্যাচার শুরু করে। এছাড়াও সম্রাট ইতিপূর্বে আরও একটি বিয়ে করেছিল এটিও তাদের জানানো হয়নি। গতকাল সকালে মোবাইল ফোনে আমাদের জানানো হয় সুমনা মারা গেছে। আমরা গিয়ে সুমনার মরদেহ দেখতে পাই। আমরা যাওয়ার আগেই সুমনার স্বামী ও শ্বশুর বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। সুমনাকে শ্বাসরোধ করে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, সুমনার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।