উচ্চ আদালতের রায়ের আলোকে সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতিতে (সুপ্রিমকোর্ট বার) যৌন হয়রানি প্রতিরোধ কমিটির যাত্রা শুরু হয়েছে।
এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে কমিটি গঠন সংক্রান্ত রায় প্রদান করে হাইকোর্ট। ওই রায়ের আলোকে সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতিতেও যৌন হয়রানি প্রতিরোধ কমিটির যাত্রা শুরু হলো।
গত বৃহস্পতিবার সুপ্রিমকোর্ট বার ভবনে ল’ রিপোর্টার্স ফোরাম (এলআরএফ) কার্যালয়ে এক মতবিনিময় সভায় এই কমিটির পরিচিতি তুলে ধরা হয়। কমিটির সভাপতি সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট জেসমিন সুলতানা সভার শুরুতে কমিটি গঠনের প্রেক্ষাপট ও করণীয় বিষয় তুলে ধরেন। মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন এটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন। এই মতবিনিময় সভায় অতিথি ছিলেন সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক সিনিয়র অ্যাডভোকেট শাহ মঞ্জুরুল হক ও সাবেক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুন নূর দুলাল।
এটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন বলেন, হাইকোর্টের রায়ে বলা ছিল, কোনো নীতিমালা না হওয়া পর্যন্ত রায়টিকে আইন হিসেবে মেনে চলতে হবে। তাই এটি মেনে চলা আমাদের জন্য আবশ্যিক। তবে সুপ্রিমকোর্টে এমন কোনো ঘটনা (যৌন হয়রানি) ঘটতে পারে বলে আমরা বিশ্বাস করি না। এখন পর্যন্ত এমন কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। এখন এই কমিটি (যৌন হয়রানি প্রতিরোধ কমিটি) দায়িত্ব নিয়েছে, তারা বিষয়টি দেখবে।
সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতিতে যৌন হয়রানি প্রতিরোধ কমিটির অপর সদস্যেরা হচ্ছেন- অ্যাডভোকেট রমজান আলী সিকদার, অ্যাডভোকেট রেহানা সুলতানা, ব্যারিস্টার ইমতিয়াজ ফারুক, অ্যাডভোকেট আঞ্জুমান আরা রানু, ব্যারিস্টার হারুন-অর-রশিদ, অ্যাডভোকেট নিঘাত সীমা (বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতি), অ্যাডভোকেট মাহবুবা আক্তার (বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড সার্ভিসেস ট্রাষ্ট), অ্যাডভোকেট শবনম মোস্তারী এবং অ্যাডভোকেট মাহমুদা আফরোজ মনি। মতবিনিময় সভায় সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।