বশেমুরকৃবি ও চীনের ডিআইসিপির মধ্যে দ্বি-পাক্ষিক গবেষণা সহযোগিতা বিনিময়ে ঐকমত্য

প্রকাশ : ০৬ জুন ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  গাজীপুর প্রতিনিধি

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরকৃবি) ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. গিয়াসউদ্দীন মিয়া দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক সংস্থা অচঘ-এর বিভিন্ন প্রোগ্রামে যোগদানের লক্ষ্যে চীন হয়ে মঙ্গোলিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রাপথে চীনের স্বনামধন্য গবেষণা প্রতিষ্ঠান দালিয়ান ইনস্টিটিউট অব কেমিক্যাল ফিজিক্সের (ডিআইসিপি) উচ্চণ্ডপর্যায়ের এক প্রতিনিধিদলের সাথে আলোচনা সভায় মিলিত হন। বশেমুরকৃবি এবং ডিআইসিপির মধ্যে ইতিপূর্বে স্বাক্ষরিত পারস্পরিক সহযোগিতা চুক্তির আওতায় প্রথমে চীনা (ডিআইসিপি) প্রতিনিধি দলের বশেমুরকৃবি পরিদর্শন এবং ফিরতি সফরে বশেমুরকৃবির উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের তিনজন শিক্ষক (প্রফেসর ড. মো. আজিজুল হক, প্রফেসর ড. ইমরুল কায়েস ও প্রফেসর ড. মো. জাহিদুল হাসান)সহ বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের চারজন বিজ্ঞানী এবং পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক যারা বর্তমানে ডিআইসিপিতে অবস্থান করছেন, তারা উক্ত সভায় বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন। ডিআইসিপি আয়োজিত উক্ত সভায় প্রতিষ্ঠানটির ভাইস-ডিরেক্টর প্রফেসর ইয়ানকিয়াং হুয়াং, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সহযোগিতা বিভাগের ডেপুটি ডিরেক্টর প্রফেসর চেন ঝাং এবং গ্লাইকো-ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ গ্রুপের গ্রুপ লিডার প্রফেসর হেং ইনসহ সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞানী, গবেষক ও গ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। চীনের লিয়াওনিং প্রদেশে অবস্থিত খ্যাতনামা এই গবেষণা প্রতিষ্ঠানটির সেমিনার কক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় উভয়পক্ষই স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠানের গবেষণা সাফল্য ও কার্যক্রমসমূহ উপস্থাপন করেন। উপস্থিত সবাই পারস্পরিক সহযোগিতা বিনিময়ের ক্ষেত্রসমূহ চিহ্নিত করে সুনির্দিষ্ট গবেষণা কার্যক্রমকে এগিয়ে নিয়ে যেতে ঐকমত্য পোষণ করেন। সভায় সময়োপযোগী আধুনিক শিক্ষা ও গবেষণা উপকরণ, বৈজ্ঞানিক প্রকাশনা, গবেষক ও শিক্ষার্থী বিনিময়ের বিষয়েও ফলপ্রসূ আলোচনা হয়। আলোচনায় উভয়পক্ষই শিক্ষা ও গবেষণার অগ্রসরকল্পে বিদ্যমান সম্পর্ককে আরো উচ্চতর পরিসরে নিয়ে যাওয়ার প্রত্যাশা দৃঢ়তার সাথে ব্যক্ত করেন। এ সফরে বশেমুরকৃবির গবেষণা খাত অনন্য উচ্চতায় পৌঁছাবে যার সুফল ভোগ করবে বিশ্ববিদ্যালয় তথা পুরো দেশ এমন আকাঙ্ক্ষা পোষণ করেন উপস্থিত বশেমুরকৃবির বিশেষজ্ঞরা।