আন্তর্জাতিক রোমান ক্যাথলিক সাহায্য সংস্থা কারিতাস ইন্টারন্যাশনালিজের সেক্রেটারি জেনারেল অ্যালিস্টার ডাটন বলেছেন, রোহিঙ্গাদের অর্থায়নে সাড়াদান কার্যক্রম অনেটাই কমে গেছে। মাসে রোহিঙ্গা প্রতি খাদ্য সহায়তার হার কমে ১০ ডলারে নেমে এসেছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আগের মতো প্রয়োজনীয় তহবিল নিয়ে আমাদের তাদের পাশে থাকা প্রয়োজন।
তিনি আরও বলেন, গত ২০১৭-২৩ পর্যন্ত কারিতাস কক্সবাজার ও ভাসানচরে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা সদস্যদের জন্য জরুরি সহায়তা হিসেবে ৪৫ মিলিয়ন ডলারের কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। এ সময়ে প্রায় ১ লাখের মতো ব্যক্তিকে সহায়তা দেওয়া হয়েছে। চলতি বছরে রোহিঙ্গা ও হোস্ট কমিউনিটির জন্যও ৭ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে। গতকাল দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নসরুল হামিদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, গত ৭ বছর ধরে বাংলাদেশ সরকার রোহিঙ্গা শরণার্থীদের যেভাবে সমর্থন দিয়েছে, তাতে আমি গভীরভাবে অনুপ্রাণিত।
বিশ্বের নজর যখন অন্য দিকে ধাবিত হয়েছে, তখনও রোহিঙ্গারা এসব ভুলে যাওয়া শিবিরে টিকে থাকার সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশ সরকার একাই তাদের সহযোগিতা করবে এটা আশা করা উচিত নয়। অন্যান্য দেশগুলোকেও আগের মতো প্রয়োজনীয় তহবিল নিয়ে তাদের পাশে থাকা প্রয়োজন। অ্যালিস্টার ডাটন বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গত ছয় বছরে ২ লাখেরও বেশি শিশুর জন্ম হয়েছে। এ শিশুরা কখনোই তাদের নিজ দেশ দেখেনি ও তাদের কোনো জাতীয়তা নেই। তারা রাষ্ট্রহীন। এ বিষয়ে নতুন করে আন্তর্জাতিক মাধ্যমগুলোকে নজর দিতে হবে।
রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তনসহ অধিকার পুনরুদ্ধারের জন্য মিয়ানমারের ওপর চাপের পাশাপাশি এ অঞ্চল এবং এর বাইরের দেশগুলোকে সমানভাবে দায়িত্ব নিতে হবে। অ্যালিস্টার ডাটন রোহিঙ্গাদের জন্য শক্তিশালী মানবিক অবস্থান এবং চলমান সহায়তার জন্য বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানান এবং বিশ্ববাসীকে তাদের জন্য আরো সহায়তার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, গত সাত বছর ধরে বাংলাদেশ সরকার রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য যে উদারতা দেখিয়েছে এবং যেভাবে সমর্থন দিয়েছে, তাতে আমি গভীরভাবে অনুপ্রাণিত। কিন্তু বাংলাদেশ সরকার একাই তাদের সহযোগিতা করবে এটা আশা করা উচিত নয়।
অন্যান্য দেশগুলোকেও আগের মতো প্রয়োজনীয় তহবিল নিয়ে এ সংকটকালীন তাদের পাশে থাকা প্রয়োজন। অ্যালিস্টার ডাটন কক্সবাজারে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন বিষয়ক অতিরিক্ত কমিশনার শামসুদ দৌজা নয়ন, ইন্টার সেক্টর কোঅর্ডিনেশন গ্রুপের প্রিন্সিপাল কোঅর্ডিনেটর, জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধি ও এনজিও প্লাটফর্ম প্রতিনিধিদের সঙ্গে এবং কার্ডিনাল ও ভ্যাটিকানের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।