ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

সিনিয়র সাংবাদিকদের তথ্য অধিকার আইন বিষয়ে প্রশিক্ষণ

সিনিয়র সাংবাদিকদের তথ্য অধিকার আইন বিষয়ে প্রশিক্ষণ

প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সিনিয়র সাংবাদিকদের জন্য ‘তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯’ বিষয়ে প্রশিক্ষণের আয়োজন করেছে তথ্য কমিশন বাংলাদেশ। গতকাল তথ্য কমিশন বাংলাদেশ এর সম্মেলন কক্ষে দিনব্যাপী এ প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়। এতে ঢাকা জেলার ৬০ জন সিনিয়র সাংবাদিক অংশগ্রহণ করেন। প্রধান তথ্য কমিশনার ডক্টর আবদুল মালেক প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনী বক্তব্যে প্রধান তথ্য কমিশনার বলেন, ২০০৯ সনে তথ্য অধিকার আইন প্রণয়নের মাধ্যমে সরকার তথ্যপ্রাপ্তিকে জনগণের সুযোগ নয় অধিকার হিসেবে নিশ্চয়তা প্রদান করেছেন। জনগণের প্রত্যাশা পূরণকল্পে স্বপ্রণোদিত তথ্য প্রকাশ অত্যাবশ্যক। প্রকাশযোগ্য তথ্য ওয়েবসাইটে নিয়মিত হালনাগাদ করে দিতে হবে।

এক্ষেত্রে বাধ্যবাধকতা থাকায় কোনো কর্তৃপক্ষই ভবিষ্যতে ছাড় পাবেন না। এছাড়া নোটিস বোর্ড, বিলবোর্ড ও বার্ষিক প্রতিবেদনের মাধ্যমে স্বপ্রণোদিত তথ্য প্রকাশ অব্যাহত রাখতে হবে। তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ এ উত্তরণের এই সন্ধিক্ষণে তথ্যকে অবারিত করা ছাড়া বিকল্প নেই। ‘চাইলে তথ্য জনগণ দিতে বাধ্য প্রশাসন’ এই মন্ত্রকে ভুলে যাওয়ার অবকাশ নেই। ডক্টর আবদুল মালেক আরো বলেন, সারাদেশে তথ্য অধিকার আইনে বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের কাছে ২০২৩ পর্যন্ত দাখিলকৃত আবেদনের সংখ্যা ১ লাখ ৫৬ হাজার ৬৬৫টি। বিশ্বে ১৪০টি দেশে তথ্য অধিকার আইন রয়েছে। জনগণের তথ্য প্রাপ্তি, অভিযোগ নিষ্পত্তি, স্বপ্রণোদিত তথ্য প্রকাশ, ওয়েবসাইট হালনাগাদ প্রভৃতি বিষয় বিবেচনায় বর্তমানে বিশ্ব র‍্যাংকিং এ বাংলাদেশ ২৭তম অবস্থানে। ডক্টর আবদুল মালেক উল্লেখ করেন, পরিসংখ্যান মতে ২০০৯ থেকে এ পর্যন্ত কমিশনে প্রায় ৩০ শতাংশ অভিযোগ দায়ের করেছেন সাংবাদিকরা। বিশুদ্ধ তথ্য সম্বলিত প্রতিবেদন তৈরিতে সাংবাদিকদের আহ্বান জানান প্রধান তথ্য কমিশনার। তথ্য কমিশনার শহীদুল আলম তথ্য প্রাপ্তির আপিল ও অভিযোগ দায়ের, তথ্য না দিলে জরিমানা ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থার বিধানসহ, কোনো কোনো তথ্য প্রকাশ বা প্রদান বাধ্যতামূলক নয়, এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণে অবহিত করেন। তথ্য কমিশনার মাসুদা ভাট্টি তথ্য সংরক্ষণ, নথি বিনষ্টকরণ, তথ্য ব্যবস্থাপনা, স্বপ্রণোদিত তথ্য প্রকাশের মাধ্যম প্রভৃতি বিষয়ে সাংবাদিকদের অবহিত করেন। ঢাকা জার্নালের এডিটর ইন চিফ সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা এবং এমআরডিআই-এর নির্বাহী পরিচালক হাসিবুর রহমান মুকুর এতে বিশেষ রিসোর্স পার্সন হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন। প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে তথ্য কমিশন বাংলাদেশ-এর সচিব জুবাইদা নাসরীন উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত