প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা খাতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) বাংলাদেশকে সহযোগিতা দিতে আগ্রহী বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ডিকাব) আয়োজিত ‘ডিকাব টক’ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান। অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত বলেন, প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা খাতে বাংলাদেশে সঙ্গে আমরা কাজ করতে চাই। এ বিষয়ে সহযোগিতা দিতে আগ্রহী ইউরোপীয় ইউনিয়ন। আরেক প্রশ্নের উত্তরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত বলেন, গাজায় সংঘাতের ইতি চায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন। যেখানেই মানবতার লঙ্ঘন হয়, সেখানেই আমরা সোচ্চার ভূমিকা পালন করি। ফিলিস্তিনের হামাসকে আমরা সন্ত্রাসী সংগঠন মনে করলেও পিএলও’র সঙ্গে আমরা কাজ করছি। সেখানে আমরা মানবিক সহায়তা দিচ্ছি। এক প্রশ্নের উত্তরে হোয়াইটলি বলেন, বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভণ্ডবিআরআই ও ইউরোপীয়ন ইউনিয়নের গ্লোবাল গেটওয়ের মধ্যে মৌলিক পার্থক্য রয়েছে। আমরা প্রযুক্তি হস্তান্তর, জলবায়ু খাতসহ আরো বিভিন্ন বিষয়ে প্রাধান্য দিয়ে থাকি। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক বাংলাদেশে ব্যবসা করতে চায়, তবে কাদের সঙ্গে ব্যবসা করবে, সেটি তাদের সিদ্ধান্ত। রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে ইইউ রাষ্ট্রদূত বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের অবস্থান প্রশংসনীয়। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে সবসময় পাশে থাকবে। এ সমস্যা সমাধানে অগ্রাধিকার দেবে। চার্লস হোয়াইটলি বলেন, আট-নয় বছর আগে হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি আক্রমণ হয়েছিল। তারপর থেকে বাংলাদেশ জঙ্গি ও উগ্রবাদ প্রতিরোধে প্রশংসনীয় ভূমিকা রাখছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের জনগণ কঠোর পরিশ্রমী, বিশেষ করে তরুণরা। ভবিষ্যতে বিভিন্ন খাতে বাংলাদেশ আরো ভালো করবে। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন ডিকাব প্রেসিডেন্ট নূরুল ইসলাম হাসিব ও সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান অপু।