সেন্টমার্টিনের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ, খাদ্য সংকটের শঙ্কা

বিকল্প পথে চিন্তা ভাবনা করছে প্রশাসন

প্রকাশ : ১২ জুন ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার

বাংলাদেশের টেকনাফ সীমান্তে বার বার গুলিবর্ষণের কারণে সেন্টমার্টিনে নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। গত পাঁচ দিন ধরে ওই পথে জাহাজ, ট্রলার, স্পিডবোটসহ সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, পাঁচ দিন ধরে নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। যাতায়াত করা যাচ্ছে না। ফলে খাদ্য সংকটের আশঙ্কা করা যাচ্ছে।

সেন্টমার্টিন বোট মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুর রশিদ বলেন, চার দিন ধরে ট্রলার চলাচল বন্ধ রয়েছে। মিয়ানমার থেকে আমার ট্রলারেও গুলি করা হয়েছে। কয়েক দিন আগে আরেকটি ট্রলারকে লক্ষ্য করে গুলি করা হয়। এ সময় লোকজন পারাপার হতে পারছে না। টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিনে খাদ্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বহণকারী ট্রলারগুলোও চলতে পারছে না। এ নিয়ে সমস্যায় পড়েছি আমরা।

সেন্টমার্টিনের বাসিন্দা জয়নাল আবেদীন বলেন, মিয়ানমারের গোলাগুলির কারণে সেন্টমার্টিন থেকে টেকনাফ যাতায়াত বন্ধ রয়েছে। আমরা কষ্টে আছি। দ্বীপবাসীকে সবকিছু টেকনাফ থেকে আনতে হয়। আমরা কষ্টে আছি।

গত ৫ জুন সন্ধ্যার দিকে নাফ নদীর মোহনায় সেন্টমার্টিন থেকে ফেরার পথে বাংলাদেশি নির্বাচনি কর্মকর্তাদের লক্ষ্য করে মিয়ানমার থেকে গুলিবর্ষণ করা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মেহেদী হাসান তখন বলেছিলেন, নির্বাচন শেষ করে কর্মকর্তারা ট্রলারযোগে টেকনাফ ফেরার পথে মিয়ানমার অভ্যন্তর থেকে গুলি ছোড়া হয়। এ সময় সহকারী কমিশনার ভূমি, প্রিজাইডিং কর্মকর্তা, পুলিং অফিসারসহ দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশের একটি টিম ট্রলারে ছিল। ট্রলারটি লক্ষ্য করে ২৫ থেকে ৩০ রাউন্ড গুলি ছোড়া হয় মিয়ানমারের ওপার থেকে।

এর আগেও টেকনাফ-সেন্টমার্টিনে ট্রলার লক্ষ্য করে বার বার গুলি ছুড়েছে মিয়ানমারের ওপার থেকে। এসব ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে ট্রলার এবং স্পিডবোট চলাচল বন্ধ রেখেছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. ইয়ামিন হোসেন বলেন, সেন্টমার্টিনে প্রায় ১০ হাজার মানুষের বসবাস। তাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ট্রলারযোগে আনা-নেওয়া করতে হয়। যেহেতু মিয়ানমার থেকে বারবার গুলি করা হচ্ছে, তাই টেকনাফ-সেন্টমার্টিনে সমস্ত নৌযান চলাচল রয়েছে। তবে বিকল্প পথে কীভাবে খাদ্যসামগ্রী এবং যাতায়াতের ব্যবস্থা করা যায়, এসব নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, ওপার থেকে গুলি ছোড়া হচ্ছে। কিন্তু কারা গুলি করছে, আমরা বুঝতে পারছি না। যেহেতু ওপারে যুদ্ধ চলছে। আমরা এসব বিষয় নিয়ে সরকারকে অবহিত করেছি।