ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ডা. রোমানাকে বাঁচানো গেল না

ডা. রোমানাকে বাঁচানো গেল না

বগুড়ার মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের সহকারী রেজিস্ট্রার (সার্জারি) ডা. রোমানা শারমিন রূম্পা (৪০) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। গতকাল শুক্রবার বিকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে লাশ বগুড়া শহরের বৃন্দাবনপাড়ায় নিজ বাড়িতে আনা হয়েছে। ডা. রোমানা শারমিন বৃন্দাবনপাড়ার মৃত আবদুল কাউয়ুমের একমাত্র মেয়ে। তিনি বগুড়ার ২৫০ শয্যার মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের সহকারী রেজিস্ট্রার (সার্জারি) পদে কর্মরত ছিলেন। তার স্বামী গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের ডা. সাজেদুল ইসলাম সুজন বগুড়ার টিএমএসএস মেডিকেল কলেজের বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক। তাদের ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া এক মেয়েসন্তান আছে। স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ডা. রোমানা পরিবার নিয়ে বৃন্দাবনপাড়ার বাবার বাড়িতে থাকতেন। ১৯ জুন রাত আড়াইটার দিকে অতিরিক্ত ঘুমের ট্যাবলেট, ডায়াবেটিস, রক্তচাপসহ বিভিন্ন রোগের ওষুধ সেবন করে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে বগুড়ার টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ ও রফাতউল্লাহ কমিউনিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে বৃহস্পতিবার বিকালে হেলিকপ্টারে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১০টার দিকে মারা যান।

বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইহান ওলিউল্লাহ বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার রাতে ডিএমপির গুলশান বিভাগের ভাটারা থানা থেকে জানানো হয়, অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ সেবনে অসুস্থ ডা. রোমানা শারমিন রূম্পা মারা গেছেন। খবর পাওয়ার পর এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে ফুলবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির এসআই হামিদুল ইসলামকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। স্বজন ও চিকিৎসকরা বলেছেন, আত্মহত্যা করেছেন। তবে আত্মহত্যা কেন করেছেন, তা আমাদের জানানো হয়নি।’ ভাটারা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাকারিয়াস দাস বলেন, ‘প্রাথমিক তদন্তে ডা. রূম্পার আত্মহত্যার কারণ জানা যায়নি। লাশ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছিল। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে। এখন থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।’ মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. শফিক আমিন কাজল বলেন, ‘ডা. রোমানা গত ৪ বছর এখানে সহকারী রেজিস্ট্রার (সার্জারি) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সর্বদা হাসিখুশি ও কাজে মনোযোগী ছিলেন। দম্পত্য জীবনেও সুখী ছিলেন। আত্মহত্যার কোনো কারণ ছিল না। তবে পরিবার থেকে চাচাতো ভাই জানিয়েছেন, তার ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ে ঠিকমতো পড়াশোনা করত না। মেয়েকে শাসন করা নিয়ে স্বামীর সঙ্গে মনোমালিন্য হয়। এতে অভিমান করেই অতিরিক্ত ঘুমের ট্যাবলেট, ডায়াবেটিস ও অন্যান্য ওষুধ সেবন করেছিলেন। শেষ পর্যন্ত তাকে বাঁচানো গেল না।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত