গৌরনদীতে মেয়র পদে উপনির্বাচন
আটক কর্মকর্তাদের ঠাঁই হলো কারাগারে
প্রকাশ : ২৮ জুন ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
বরিশাল ব্যুরো
জেলার গৌরনদী পৌরসভার মেয়র পদে উপনির্বাচনে এক মেয়র প্রার্থীর কাছ থেকে গ্রহণ করা ঘুষের টাকাসহ আটককৃত এক প্রিজাইডিং ও দুই সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও গৌরনদী উপজেলা নির্বাচন অফিসার মোঃ সাইদুর রহমান বাদি হয়ে মামলা মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে ওই দিন দুপুরে আটককৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এজাহারে বাদী সাইদুর রহমান উল্লেখ করেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সরকারি গৌরনদী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার ও গৌরনদী বন্দর সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার মোঃ সাইদুর রহমান, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ও গৌরনদী জাতীয় মহিলা সংস্থার কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার ভদ্র এবং সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার উত্তর কান্ডপাশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক দেলোয়ার হোসেন ভোটের আগের দিন মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে মোবাইল ফোন প্রতীকের মেয়র প্রার্থী এইচএম জয়নাল আবেদীনের কাছ থেকে ঘুষ নিয়েছেন। বিষয়টি জানার পরে ভোট চলাকালীন সময়ে গত বুধবার আমি এবং বরিশাল আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসার মোঃ আলাউদ্দিন, বরিশাল জেলা সিনিয়র অতিরিক্ত নির্বাচন অফিসার ও উপনির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার অহিদুজ্জামান মুন্সী, কেন্দ্রে দায়িত্বরত পুলিশ উপ-পরিদর্শক মোঃ আব্দুল কাইয়ুম একদল পুলিশ নিয়ে কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে অভিযুক্তদের একটি কক্ষে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর তারা ঘুষ গ্রহণের কথা স্বীকার করেন।
স্বীকারোক্তিতে আসামিরা বলেন- গৌরনদী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মোবাইল ফোন প্রতীকের মেয়র প্রার্থী এইচএম জয়নাল আবেদীন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র মোঃ হারিছুর রহমান ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ ফরহাদ হোসেন মুন্সী রাতে ভোট কেন্দ্রে এসে বকশিসের কথা বলে তাদেরকে আট হাজার টাকা দিয়েছেন। একপর্যায়ে ঘুষের টাকা বের করে দিলে পুলিশ টাকা জব্দ করে করেন। গৌরনদী মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ মাজহারুল ইসলাম বলেন, দায়েরকৃত মামলায় আটক তিনজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এজাহারের মধ্যে আরো তিনজনের নাম রয়েছে। তদন্তে তাদের জড়িত থাকার সত্যতা পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মোবাইল ফোন মার্কার পক্ষে প্রার্থী ও তার উল্লেখিত ওই দুই সহযোগী ভোটগ্রহণের আগের দিন রাতে বিভিন্ন কেন্দ্রে কেন্দ্রে গিয়ে প্রিজাইডিং অফিসারদের টাকা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। এর মধ্যে গেরাকুল বেগম আখতারুন্নেছা মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে রাত সাড়ে ১১টার দিকে টাকা দিতে আসে হারিছুর রহমানসহ তার সহযোগিরা। তাৎক্ষণিক দায়িত্বরত ম্যাজিস্ট্রেট ওই কেন্দ্রে উপস্থিত হলে হারিছুর রহমানসহ তার সহযোগিরা পালিয়ে যান।