মডেল মসজিদ নির্মাণকাজ বন্ধ ফের দরপত্র আহ্বানের নির্দেশ
প্রকাশ : ০১ জুলাই ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
স্টাফ রিপোর্টার, সিরাজগঞ্জ
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার নির্মাণাধীন মডেল মসজিদের কাজ দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে। এ নিয়ে স্থানীয় মুসুল্লিদের মধ্যে ক্ষোভ ও নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, উক্ত মসজিদের কাজে আর্থিক ক্ষতির কারণ দেখিয়ে এ নির্মাণকাজ বন্ধ করে দিয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তবে গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অবেদনে এ কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়। উল্লাপাড়া পৌর টার্মিনাল-সংলগ্ন বগুড়া-নগরবাড়ী মহাসড়কের পাশে মডেল মসজিদ ও ইসলামিক শিক্ষা সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের ভবন নির্মাণকাজ শুরু করা হয়। ২০১৯ সালের জুন মাসের প্রথম দিকে গণপূর্ত বিভাগের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ফার্স্ট এস এস কনস্ট্রাকশন প্রাইভেট লিঃ। ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় এ প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রায় পৌনে ১২ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। ২০২২ সালের এপ্রিলের শেষ দিকে ওই মডেল মসজিদ ও ইসলামিক শিক্ষা সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে নির্মাণকাজ শুরু করা হয় এবং এ কাজ তদারকি ও বাস্তবায়নের দায়িত্বে দেয়া হয় স্থানীয় গণপূর্ত বিভাগকে। এ প্রকল্প নির্মাণে নানা অনিয়মের অভিযোগে জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহ্বুবুর রহমান ২০২৩ সালের মার্চ মাসের শেষ দিকে স্থানীয় সরকার (ডিডিএলজি) উপ-পরিচালক মোহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেনকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এ কমিটি তদন্ত শেষে ওই নির্মাণাধীন মডেল মসজিদের ২৫টি পিলার ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেয়া হয়। এ নির্দেশে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ওই পিলার ভেঙে আবারো পিলার নির্মাণ করে। এ কারণে ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের আর্থিক ক্ষতি হয়। অবশ্য ওই মসজিদ নির্মাণকাজ অনেক এগিয়ে রয়েছে। প্রায় দেড় মাস হলো এ নির্মাণকাজ বন্ধ রয়েছে। বর্তমানে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের একজন নাইটগার্ড ছাড়া আর কিছু নেই। এ বিষয়ে গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মাহমাদুল হাসান সাংবাদিকদের বলেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আর্থিক ক্ষতি দেখিয়ে লিখিত আবেদন করেছেন। এ আবেদন বিধি মতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর পাঠানো হয়েছে এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এ কাজ বতিল করে বাকি কাজ করার জন্য পুনরায় দরপত্র আহ্বানের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সানজিদা সুলতানা আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, উপজেলা বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি হিসেবে আমাকে এ বিষয়ে জানানো হয়নি। তবে শুনেছি মসজিদের কাজ এখন বন্ধ রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।