বন্দরে সন্ত্রাসী মনু হত্যায় এলাকায় স্বস্তি

প্রকাশ : ০১ জুলাই ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  সোনারগাঁও প্রতিনিধি

কুখ্যাত সন্ত্রাসী মনু ডাকাতি করতে গিয়ে পাবলিকের ধাওয়া খেয়ে নিজ বাড়িতে অবস্থান নিলে এলাকার জনগণ ক্ষিপ্ত হয়ে সন্ত্রাসী মনুকে গণপিটুনি দেয়। নারায়ণগঞ্জ বন্দর উপজেলায় গত ৭ জুন মুরাদপুরে নিজ বাসায় খুন হন সন্ত্রাসী ও বহু মামলার আসামি মনিরুজ্জামান মনু। তবে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ, চাঁদাবাজি, আধিপত্য বিস্তার ও নানান আইন বহির্ভূত কর্মকাণ্ডের কারণেই এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন মুরাদপুরের কতিপয় লোকজন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন উল্লেখ করেন যে, একসময়কার কুখ্যাত সন্ত্রাসী এই মনু মুরাদপুরসহ আশপাশের এলাকার নিরীহ মানুষের ওপর জুলুম নির্যাতন, চাঁদাবাজি ও নিরীহ মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করেছিল। তার ফলেই মনু হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে।

জানা গেছে, নিহত মনুর নামে শুধুমাত্র বন্দর থানায় ১৩টি মামলা রয়েছে, ১। মামলা নং-১৫(৩)০১, ২। মামলা নং-১৬ (৩) ০১, ৩। মামলা নং- ১০ (৫) ০১, ৪। মামলা নং-১৫ (৩) ৯৮, ৫। মামলা নং-১৪ (৩) ৯৮, ৬। মামলা নং-১৪ (১০) ৯৫, ৭। মামলা নং- ৩ (৪) ২০১, ৮। মামলা নং-৪(৪)০১, ৯। মামলা নং-১৯(৫) ০৩, ১০। মামলা নং-৫ (৮) ০৩, ১১। মামলা নং -৩ (৮) ০৩, ১২। মামলা নং-৮ (৯)০৭, ১৩। মামলা নং-২১(৪) ০৪।

এছাড়া নারায়ণগঞ্জসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন থানায় তার নামে আরো ৩০টির অধিক মামলা আছে বলে জানা গেছে। শীর্ষ সন্ত্রাসী কামরুজ্জামান কামু’র স্বাভাবিক মৃত্যু হলেও হত্যাসহ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে আবুল পুলিশের ক্রসফায়ারে নিহত হন। কুখ্যাত সন্ত্রাসী মনু ডাকাতি করতে গিয়ে পাবলিকের ধাওয়া খেয়ে নিজ বাড়িতে অবস্থান নিলে এলাকার জনগণ ক্ষিপ্ত হয়ে সন্ত্রাসী মনুকে গণপিটুনি দেয়। পরে তার সাঙ্গপাঙ্গরা সন্ত্রাসী মনুকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসা চলাকালীন অবস্থায় সে মারা যায়।

এলাকাবাসী আরো বলেন, সন্ত্রাসী মনুর বোন বাবুর স্ত্রী মাদক সম্রাজ্ঞী শাহিনা এবং সন্ত্রাসী মনুর স্ত্রী সাবিনা স্বামীর পালিত সাঙ্গোপাঙ্গ নিয়ে এলাকায় আবারও ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করার চেষ্টা চালাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় স্বামী হত্যার বিচারের নামে মানুষকে বিভিন্নভাবে হ্যারেজমেন্ট করার জন্য মামলা করেন সন্ত্রাসী মনুর স্ত্রী।