টেকনাফ মডেল থানা
সুপারি ব্যবসার আড়ালে অস্ত্র চোরাচালান
প্রকাশ : ০২ জুলাই ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার
এবার সুপারি ব্যবসার আড়ালে অস্ত্র চোরাচালানের সন্ধান পেয়েছে টেকনাফ মডেল থানা পুলিশ। সুপারি বস্তার আড়ালে পাচারকালে ১টি বিদেশি জি-৩ রাইফেল, ৫০ রাউন্ড তাজা গুলি ও দুটি ম্যাগাজিনসহ মো. হেলাল উদ্দিন (২৫) নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতার মো. হেলাল উদ্দিন রামু উপজেলার গর্জনিয়ার মনির আহম্মদের ছেলে। গতকাল সোমবার টেকনাফ পৌরসভার ঝর্ণা চত্ত্বরের আল করম মসজিদের সামনে চেকপোস্ট বসিয়ে অস্ত্র-গুলিসহ তাকে গ্রেফতার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেন টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ওসমান গনি। ওসি বলেন, গোপন সংবাদে খবর ছিল এক অস্ত্র ব্যবসায়ী টেকনাফ থেকে সুপারি বস্তা করে আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলিসহ পাচার করেছিল। এমন সংবাদে পৌরসভার ঝর্ণা চত্ত্বরের আল করম মসজিদের সামনে চেকপোস্ট বসিয়ে বিভিন্ন যানবাহন তল্লাশি করা হয়। এ সময় দু’জন ব্যক্তি পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তাদের হাতে থাকা একটি সুপারি বস্তাসহ পালানোর চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে হেলাল উদ্দিন নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় মুহাম্মদ জুয়েল রানা নামের একজন পালিয়ে যায়। এ সময় মো. হেলাল উদ্দিনের হেফাজত থাকা সুপারি বস্তা থেকে ১টি বিদেশি জি-৩ রাইফেল, ৫০ রাউন্ড তাজা গুলি ও ২টি ম্যাগজিন উদ্ধার করা হয়। কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উখিয়া সার্কেল) মো. রাসেল বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত ওই যুবক বিভিন্ন ডাকাতদলের কাছে অস্ত্র ও গুলি বিক্রি করেন বলে স্বীকার করেন। তাদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্ততি চলছে। এবং রিমান্ডে আবেদন করা হবে। পুলিশ কর্মকর্তা মো. রাসেল আরো বলেন, পলাতক যুবকের বিরুদ্ধে পূর্বের মাদক আইনে দুইটি মামলা রয়েছে। তাদের মূল ব্যবসা হচ্ছে অস্ত্র। শৃংখলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিতে বহনের সুবিধার্থে সুপারি নিয়ে যাচ্ছিল বলে মন্তব্য করেন পুলিশ কর্মকর্তা মো. রাসেল। এদিকে এলাকায় খোঁজ নিয়ে আরো জানা গেছে, পলাতক জুয়েল রানা একজন খারাপ প্রকৃতির লোক। সে গরু, অস্ত্র, মাদক চোরাচালানে জড়িত। গ্রেফতারকৃত হেলাল উদ্দিন তার কাজে সহযোগিতাকারী বলে দাবি করেছেন।