ঢাকা ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

সংসদে পরিবেশমন্ত্রী

২ লাখ ৫৭ হাজার একর বনভূমি অবৈধ দখলে

পাঁচ মাসে ৬১১টি অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান
২ লাখ ৫৭ হাজার একর বনভূমি অবৈধ দখলে

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী জানিয়েছেন, বন বিভাগের ২ লাখ ৫৭ হাজার ১৫৮ একর বনভূমি অবৈধ দখলে রয়েছে। এর মধ্যে গত মে পর্যন্ত ৩০ হাজার ১৬২ একর বনভূমির জবরদখল উচ্ছেদ করা হয়েছে। অবশিষ্ট জবরদখলকৃত বনভূমি উদ্ধারে কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় সংসদের অধিবেশনে চট্টগ্রাম-১১ আসনের সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান। এ সময় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন। মন্ত্রী বলেন, ১০০ কর্মদিবস অগ্রাধিকার কর্মপরিকল্পনার মাধ্যমে আরো পাঁচ হাজার একর জবরদখলকৃত বনভূমি পুনরুদ্ধারে উচ্ছেদ প্রস্তাব প্রেরণ করা হয়েছে। বনভূমি অবৈধ দখলদারের নিকট থেকে উদ্ধারের পর বন বিভাগের আওতায় এনে বনায়ন করা হচ্ছে।

সংসদ সদস্য মো. সোহরাব উদ্দিনের এক প্রশ্নের উত্তরে সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, চলতি বছরের ২৫ জানুয়ারি হতে ২৪ জুন পর্যন্ত পাঁচমাসে সারাদেশে ১৭০টি মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ৬১১টি অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে ১৫.০৮ কোটি টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, বর্তমানে সারা দেশে মোট ৬ হাজার ৮৭৬টি ইটভাটা রয়েছে। পরিবেশ দূষণ রোধকল্পে অবৈধ ইটভাটা বন্ধে পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা, এনফোর্সমেন্ট অভিযান ও নিয়মিত মামলা দায়েরের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। বর্তমান সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় কর্তৃক ১০০ কর্মদিবসের অগ্রাধিকার কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে, যেখানে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণসহ দূষণ নিয়ন্ত্রণে নানাবিধ কার্যক্রম অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। উক্ত কর্মপরিকল্পনার আওতায় ১০০ কর্মদিবসের মধ্যে ন্যূনতম ৫০০টি বায়ুদূষণকারী অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক চলতি বছরের ২৫ জানুয়ারি হতে দেশব্যাপী ক্রাশ প্রোগ্রাম শুরু করা হয়েছে। এ কর্মসূচির আওতায় ২৪ জুন পর্যন্ত সারাদেশে মোট ১৭০টি মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ৬১১টি অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে ১৫ দশমিক ০৮ কোটি টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে এবং ২৫০টি ইটভাটা ভেঙে ফেলা হয়েছে।

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ‘ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩ (সংশোধিত ২০১৯)’ এর আলোকে সরকার বায়ুদূষণ রোধ ও কৃষি জমির মাটি ব্যবহার পর্যায়ক্রমে হ্রাস করার উদ্দেশ্যে সড়ক ও মহাসড়ক ব্যতীত সব সরকারি নির্মাণ, মেরামত ও সংস্কার কাজে ইটের বিকল্প হিসাবে পরিবেশবান্ধব ব্লক ব্যবহারের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে ব্লকের উৎপাদন ও ব্যবহার বৃদ্ধির কার্যক্রম স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর, গণপূর্ত অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য দপ্তর বা সংস্থাসমূহ ও নির্মাণ সংশ্লিষ্ট অংশীজনের সহায়তায় বাস্তবায়িত হচ্ছে। ব্লকের উৎপাদন ও ব্যবহার বৃদ্ধির জন্য বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় বেস্ট প্রকল্প বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে স্বল্প সুদে ঋণের মাধ্যমে প্রণোদনা কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত