ঢাকা ১০ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ কার্তিক ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

কক্সবাজারের আলোচিত ভূমিদস্যু ফরিদ চাঁদাবাজি মামলায় গ্রেপ্তার

কক্সবাজারের আলোচিত ভূমিদস্যু ফরিদ চাঁদাবাজি মামলায় গ্রেপ্তার

কক্সবাজারের প্রাণ বাঁকখালী নদীর অবৈধ দখলদার ও বহুল আলোচিত ভূমিদস্যু পেশকার পাড়ার ফরিদুল আলম ফরিদকে চাঁদাবাজি মামলায় গ্রেপ্তার করেছেন সদর মডেল থানা পুলিশ। গত সোমবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শহরের লালদীঘির পূর্বপাড়স্থ হোটেল প্যানোয়ায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাইফুল ইসলাম। সম্প্রতি কক্সবাজার জেলা প্রশাসককে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দিয়ে খাস জমি দখল করেছি- মন্তব্য করে আলোচনায় আসেন ফরিদ।

গ্রেপ্তারকৃত ফরিদুল আলম কক্সবাজার শহরের ৪নং ওয়ার্ডের পেশকার পাড়া এলাকার মৃত ইয়াকুব আলীর ছেলে। তার বিরুদ্ধে আরো একাধিক মামলা বিচারাধীন রয়েছে।

জানা গেছে, কক্সবাজারের প্রাণ বাঁকখালী নদীর বিভিন্ন এলাকায় পৃথক দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করে একের পর এক আলোচনায় আসেন পেশকার পাড়ার বাসিন্দা ও চিহ্নিত ভূমিদস্যু ফরিদ। তার বিরুদ্ধে সড়ক ও নালা দখল করে ঘর নির্মাণের অভিযোগ রয়েছে। দখল অব্যাহত রাখতে সম্প্রতি চিহ্নিত অপরাধী ও সরকারি দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের নিয়ে জবরদখল স্থলে পিকনিকের আয়োজনও করেন তিনি। এ সময় ঘটনাস্থলে কক্সবাজারে ডজনখানিক সাংবাদিক উপস্থিত হয়ে দখলের বিষয় জানতে চাইলে তিনি ‘দম্ভ করে জেলা প্রশাসককে ঘুষ দিয়ে খাস জমি দখলের কথা’ বলেন। এর আগেও তার বিরুদ্ধে নদী দখল, অবৈধ বালি উত্তোলন এবং ব্যক্তিগত জমি দখলের অভিযোগ রয়েছে। চলতি বছরের ২৪ এপ্রিল জেলা প্রশাসকের পক্ষে ডেপুটি কালেক্টর (রেভিনিউ) মনজুর আলম স্বাক্ষরিত চিঠিতে ফরিদের সরকারি খাস জমিতে ঘরবাড়ি নির্মাণ এবং পানি চলাচল নালা বন্ধ করার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কক্সবাজার সদরের সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) নির্দেশনা দেন। কিন্তু রহস্যজনক কারণে ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। বেপরোয়া ফরিদ চাঁদা না পেয়ে সম্প্রতি শহরের পোনা মার্কেট নামক এলাকায় সাংবাদিক সংগঠণের অফিসের ঘেরাবেড়া ভাঙচুরের পর লুট করে নিয়ে যান। এ ঘটনায় ভূমি খেকো ফরিদসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগে আদালতে মামলা দায়ের করেন সংগঠনের সভাপতি। মামলাটি আদালত আমলে নিয়ে সংশ্লিষ্ট ধারায় রুজু করার জন্য সদর মডেল থানাকে আদেশ দেন। গত ১২ জুন আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে সদর থানা পুলিশ (জিআর মামলা নং-৪১৯/২০২৪)। এরই মধ্যে লুট হওয়া মালামালও উদ্ধার করেছে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। মামলার অন্য আসামিরা হলেন, কক্সবাজার শহরের ৪নং ওয়ার্ডের পেসকার পাড়া এলাকার ফজল করিমের ছেলে ইউছুপ বাবুল, একই এলাকার মৃত ইয়াকুব আলীর ছেলে শামসুল আলম, ফরিদুল আলমের ছেলে মো. রায়হান, ইউছুপ বাবুলের ছেলে আসিফ ও অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জন।

কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিবুজ্জামান বলেন, চাঁদাবাজি মামলায় ফরিদুল আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। অন্য আসামিদের বিরুদ্ধেও অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত