বৃষ্টি সত্ত্বেও ভ্যাপসা গরম

প্রকাশ : ০৩ জুলাই ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

চলছে ঘোর বর্ষা। দেশের আকাশে সূর্যের দেখা নেই বললেই চলে? পুরো দেশে টানা বৃষ্টি না হলেও অধিকাংশ স্থানের আকাশ মেঘে ঢাকা। তবুও অনুভূত হচ্ছে ভ্যাপসা গরম। রাজধানীসহ দেশের কয়েকটি অঞ্চলে বেশ কয়েকদিন ধরেই ভ্যাপসা গরম অনুভূত হচ্ছে। দেখা যাচ্ছে, আকাশে মেঘ; বাইরের পরিবেশও কিছুটা শীতল। কিন্তু একটা গুমট পরিস্থিতি। ঘরের ভেতরে তেমন অনুভব করা যাচ্ছে না। আবার বাইরে বের হলেও স্বাভাবিকভাবে বাতাস পাওয়া যাচ্ছে না। সারা দিন ধরেই যে এমন হয়, তাও কিন্তু নয়। বিভিন্নজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রায় এক মাস ধরে তারা এমন পরিস্থিতি লক্ষ্য করছেন। নাঈম নামে মিরপুরের এক বাসিন্দা বলেন, আমি বাইরে গেলে কিছুটা বাতাস অনুভব করতে পারি। কিন্তু ঘরের ভেতরে তেমনটা নয়। ফ্যান ছেড়ে রাখলে বাতাস পাওয়া যায়। কিন্তু বন্ধ করলে শ্বাস নিতেও সমস্যা হচ্ছে। আকাশে মেঘ রয়েছে, সে হিসেবে পরিবেশ শীতল থাকার কথা। তিনি মনে করেন, মেঘ জমার পর সেটি সরে যেতে না পারায় বাতাস ঠিকভাবে প্রবাহিত হতে পারছে না। প্রতিনিয়ত তাই শরীর ঘামছে। গোসল করার পরও তার ও তার স্বজনদের শরীরে ঘাম জমছে। এর আগে কখনও এমনটি অনুভব করতে পারেননি তিনি। নাঈমের মতো আরো অনেকেই একই ধরনের কথা বলেছেন। সোহাগ নামে স্বামীবাগ এলাকার একজন বলেন, বৃষ্টি হওয়ার পরও ভ্যাপসা গরম অনুভূত হচ্ছে। সাধারণত বৃষ্টির আগে পরে বেশ কিছুক্ষণ শীতল অনুভূত হয়। কিন্তু তাপপ্রবাহ শেষ হয়ে বৃষ্টির দিন ঘনিয়ে আসার পর থেকেই একই পরিস্থিতি বিরাজমান। আকাশে সূর্যের দেখা পাওয়া না গেলেও গরম অনুভূত হচ্ছে। এখান থেকে সেখানে গেলেও শরীরে ঘামে ভিজে যাচ্ছে। আমার দুই বছরের বাচ্চার শ্বাস নিতে সমস্যা হচ্ছে। ঘামে ভিজে থাকে বিধায় শরীর স্যাঁতস্যাঁতে হয়ে থাকে। রোগও বাড়ছে। নাগরিকদের এমন অনুভবের পেছনে আবহাওয়াবিদদের যুক্তি আছে। সেটিও আবার তারা দিচ্ছেন বৈজ্ঞানিকভিত্তিতে।

তারা বলছেন, মানব দেহও ভ্যাপসা গরমের জন্য দায়ী। কেন না, দেহ তাপ ছাড়ে। আবার বাতাসও তাপ ছাড়ে। আর দুদিকের তাপ এসে লাগে চামড়ায়। শরীর ঘেমে ওঠে। কিন্তু বাতাসে অতিরিক্ত জলীয় বাষ্প থাকায় শরীরের ঘাম শুকোতে চায় না। ফলে দেহের তাপ বের হতে বাধা পায়। গা হয়ে ওঠে স্যাঁতস্যাঁতে। এতে যে গরম অনুভূত হয় সেটাকেই বলে ভ্যাপসা গরম। আবহাওয়াবিদ ড. আবুল কালাম মল্লিক বিষয়টির ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, বর্ষা মৌসুমে আকাশ মেঘলা থাকে। সূর্য দেখা না গেলেও তাপের সৃষ্টি হয়।