কোটা বাতিলের দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ অবরোধ করে বিক্ষোভকারীরা। টানা কয়েক ঘণ্টা অবরোধের ফলে শাহবাগসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। বিকাল ৫টার পর এ যানজট ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের অলিতে-গলিতে। এতে ভোগান্তিতে পড়েন পথচারীরা। গতকাল বুধবার বিকাল ৫টার দিকে রাজধানীর বাংলামোটর, কাওরানবাজার, সোনারগাঁও রোড, পান্থপথ, গ্রিন রোড, সায়েন্সল্যাব, তেজগাঁও সরেজমিন ঘুরে তীব্র যানজট দেখা গেছে। যানজট তীব্র হওয়ায় অনেকেই গাড়ি থেকে নেমে হেঁটে গন্তব্যে যান। এসব জায়গার কোথাও কোথাও যানজটে অ্যাম্বুলেন্সকেও সড়কে আটকে থাকতে দেখা যায়। ওই সময় রাজধানীর সোনারগাঁও রোডে গেলে দেখা যায়, কাওরানবাজার মোড় থেকে সময় টিভির ভবন পর্যন্ত পুরো রাস্তায় যানবাহন আটকে আছে। সেখানে এক ভ্যানচালক সজল মিয়া বাবুবাজার থেকে কেমিক্যালের ড্রাম নিয়ে যাচ্ছিলেন ফার্মগেট দিকে। কাঁটাবন পার হয়ে সোনারগাঁও রোডে এসে তাকে পড়তে হয় যানজটের কবলে। শুরুতে ধীরে ধীরে এগিয়ে এলেও সামনে এসে আর চাকা নড়ছিল না। এক জায়গায় ভ্যান নিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট দাঁড়িয়ে ছিলেন। তিনি বলেন, সারা পথ কোনো ঝামেলা হয়নি। সড়কে তেমন যানজট ছিল না। সোনারগাঁও রোডে ঢুকেই আটকে পড়ি। এখন আর গাড়ি নিয়ে যেতে পারছি না, দাঁড়িয়ে আছি। ধানমন্ডি-৩২ থেকে রিকশায় চড়ে কাওরানবাজারে আসছিলেন ব্যবসায়ী মোখলেছুর রহমান। সামান্য পথ সামনে গিয়ে যানজটে আটকা পড়ে তাকে বহন করা রিকশাটি। দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়েও যখন রিকশা চলছিল না, তখন তিনি বাধ্য হয়ে রিকশা থেকে নেমে হেঁটেই গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। তিনি বলেন, ৩২ নম্বর থেকে রিকশায় উঠেছি। স্কয়ার হাসপাতাল পার হয়ে গাড়ি আর নড়ছে না। পরে উপায় না পেয়ে নেমে যাই। বাকি পথ হেঁটেই কাওরানবাজার মোড় পর্যন্ত এলাম। সোনারগাঁও ট্রাফিক সিগন্যালের কাছে দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তা ফয়সাল বলেন, বিকাল ৫টার পর থেকে যানবাহনের চাপ বেড়েছে। এর আগে তেমন যানজট দেখা যায়নি। স্বাভাবিক ছিল। একটু পর পর সিগন্যাল ফেলতে হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে ঢাকা মহানগর বলেন, গতকাল সকাল থেকে রাস্তায় তেমন কোনও চাপ ছিল না। শাহবাগ এলাকায় টানা কয়েন ঘণ্টা ধরে বিক্ষোভ করছিল শিক্ষার্থীরা। শাহবাগ মোড় অবরোধ করায় পাশেপাশে কিছু সড়কে গাড়ি আটকে যায়। বিকাল ৫টার কিছুক্ষণ পর অবরোধ ছাড়ে তারা। এক পাশ থেকে অনেক গাড়ি একসঙ্গে আসায় সেই চাপ পড়ে সোনারগাঁও মোড়ের দিকে। আশা করি কিছুক্ষণের মধ্যে যানবাহনের চাপ কমে আসবে।