সংসদে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমী বিল ২০২৪ পাস

প্রকাশ : ০৪ জুলাই ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতীয় সংসদে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমী বিল, ২০২৪ পাস করা হয়েছে। জাতীয় শিক্ষাক্রম বা¯ত্মবায়ন এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও প্রাথমিক শিক্ষা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে যুগোপযোগী প্রশিক্ষণ প্রদান ও গবেষণা পরিচালনার জন্য জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি প্রতিষ্ঠাকল্পে বিলটি আনা হয়। গতকাল বুধবার প্রাথমিক ও গণশিড়্গা প্রতিমন্ত্রী বেগম রুমানা আলী সংসদে বিলটি পাসের প্রস্তাব করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বিলটির ওপর দেয়া জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে পাঠানো এবং সংশোধনী প্রস্তাবগুলোর নিষ্পত্তি করেন। ১৯৬১ সালে অধ্যাদেশের মাধ্যমে ময়মনসিংহে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি (ন্যাপ) গঠন করা হয়। এখন সেটাকে একটি আলাদা নতুন আইনের অধীনে আনা হচ্ছে উল্লেখ করে বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সংবলিত বিবৃতিতে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এখন ময়মনসিংহে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি (ন্যাপ) আছে। দ্য গভর্নমেন্ট এডুকেশনাল অ্যান্ড ট্রেনিং ইনস্টিটিউশনস অরডিন্যান্স ১৯৬১ অনুযায়ী বাংলাদেশে কয়েকটি প্রশিক্ষণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান পরিচালিত হতো। কিন্তু বর্তমানে ওই প্রতিষ্ঠানগুলো যুগোপযোগী কার্যক্রম পরিচালনার জন্য পৃথক আইন প্রণয়ন করেছে। যেমন- জাতীয় পরিকল্পনা ও উন্নয়ন একাডেমি প্রতিষ্ঠাকল্পে প্রণীত আইন। উল্লেখিত অর্ডিন্যান্সে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে গঠিত ১৪ সদস্যবিশিষ্ট বোর্ড অব গভর্নরস সরকারের পূর্বানুমতিক্রমে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি, ময়মনসিংহ; রেজুলিউশন ২০০৪ নামে একটি রেজুলিউশন প্রণয়ন করে এবং রেজুলিউশনের প্রদত্ত নির্দেশনা অনুযায়ী বর্তমানে ন্যাপ পরিচালিত হচ্ছে।

তিনি বলেন, জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের জন্য নিয়মতান্ত্রিকভাবে প্রশিক্ষণ পরিচালনা করা ও গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করা একান্ত প্রয়োজন বিধায় ন্যাপের জন্য একটি আইন প্রণয়ন করা সমীচীন। ন্যাপ-এর আইন বা বিধি না থাকার কারণে শূন্যপদে জনবল নিয়োগ করা সম্ভব হচ্ছে না। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়-সংস্থা-প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরাধীন কর্মকর্তারা প্রেষণে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে একাডেমিতে যোগদান করলেও অধিকাংশ কর্মকর্তার গবেষণা ও প্রশিক্ষণ কাজের অভিজ্ঞতা না থাকায় তাদের একাডেমির মূল কাজে সম্পৃক্ত করা সম্ভব হচ্ছে না। এ কারণে নতুন আইন করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।

বিলটি পাসের প্রক্রিয়ায় আলোচনায় অংশ নেন বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী, স্বতন্ত্র সদস্য পংকজ নাথ, এস এম ব্রাহানী সুলতান মামুদ, গোলাম সারোয়ার টুকু ও হামিদুল হক খন্দকার।