হাইকোর্টের আদেশে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন উখিয়ার রাজাপালং ইউপির উপনির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হুমায়ূন কবির চৌধুরী। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট এই আদেশ দেন বলে নিশ্চিত করেছেন হুমায়ূন কবির চৌধুরীর ছোট ভাই উখিয়া উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী। এর আগে প্রতিদ্বন্দ্বী রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চারবারের সাবেক চেয়ারম্যান শাহ কামাল চৌধুরীর পুত্র সাদমান জামী চৌধুরী অভিযোগ তুলেন হুমায়ুন সরকারি চাকরিতে কর্মরত। ওই সময় জামীর পক্ষে আইনজীবীর ভূমিকায় দেখা যায় তার চাচাতো ভাই উখিয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি সরোয়ার জাহান চৌধুরীর পুত্র ব্যারিস্টার সাফফাত ফারদিন চৌধুরীকে। জামীর করা আপিল আমলে নিয়ে গত মঙ্গলবার দীর্ঘ শুনানি অনুষ্ঠিত হয় কক্সবাজার জেলা নির্বাচন কার্যালয়ে, যেখানে রিটার্নিং কর্মকর্তা কর্তৃক দেওয়া পূর্বের মনোনয়ন বৈধতার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা হুমায়ুনের প্রার্থিতা বাতিল করেন। হাইকোর্টে হুমায়ুনের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন ছৈয়দ আহমেদ চৌধুরী’র পুত্র ব্যারিস্টার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান চৌধুরী, সম্পর্কে তারা আপন চাচাতো ভাই। হুমায়ুনের আইনজীবী জানান, যথাযথ নিয়ম অনুসরণ করে তার মক্কেল সরকারি চাকরি থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন। অন্যদিকে এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন দুই চাচাতো ভাই ঘোড়া প্রতীকের মকবুল হোসাইন মিথুন ও মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী ফরিদুল আলম। আপিল শুনানিতে মিথুনের বিরুদ্ধে ফরিদ অভিযোগ তুললে তা খারিজ করে দেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা। উখিয়ার রাজাপালং ইউনিয়নের উপনির্বাচন ঘিরে যেনো চলছে চাচাতো ভাইদের দ্বৈরথ, এবার এক প্রার্থীকে আইনি লড়াইয়ে নির্বাচনে ফিরিয়ে এনেছেন আরেক চাচাতো ভাই। চাচাতো ভাই তথা রক্তের আত্মীয়তা সম্পর্কে ঘেরা এই ঘটনাগুলো জেলাব্যাপী জন্ম দিয়েছে আলোচনা। ২৭ জুলাই, ইভিএমে ১৫ কেন্দ্রে ভোটাধিকার প্রয়োগ করে নিজেদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত করবেন এই ইউনিয়নের ৪২৫৯৮ জন ভোটার। এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে নির্বাচনে অংশ নেওয়া অপর চার প্রার্থীকে প্রতীক বরাদ্দ দিয়েছে উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়। হাইকোর্টের আদেশপত্র হাতে পেলে হুমায়ূন কবির চৌধুরীও প্রতীক পাবেন বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা।