রংপুর শহরের প্রাণ কেন্দ্রে মুক্তিযোদ্ধার শিশু নাতিকে বলাৎকার করার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার বিচার চেয়ে প্রভাবশালীদের হুমকির মুখে চরম উৎকন্ঠায় দিনাতিপাত করছে শিশুটির পরিবার। পরিবার সূত্রে জানা যায, রংপুর সিটি কর্পোরেশনের ২৫ নং ওয়ার্ডের বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আঃ রশিদ বসবাস করেন। তার এর পুত্র সোহেল রানার ৭ বছরের শিশু পুত্র বাড়ির বাইরে গেলে ২৬ জুন সন্ধ্যা ৭:০০ ঘটিকার সময় স্থানীয় পুরাতন টায়ার বিক্রেতা তার দোকানঘরে বলাৎকার করছিল। এ সময় তার দশ বছর বয়সি বড় ভাই খুঁজতে বের হয়ে হানিফের সাঁটার অর্ধেক নামানো দোকানের ভেতর ভাইয়ের কান্নার শব্দ শুনতে পায়। তখন বড়ভাই সাঁটার গলিয়ে ভেতরে ঢুকে হানিফ তার ভাইকে বলাৎকার করার বিষয়টি দেখতে পেয়ে দৌড়ে বাড়িতে যায় এবং বাবা-মাকে বিষয়টি খুলে বলে। বাবা-মা দৌড়ে গিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করতে পারলেও বলাৎকারকারী হানিফ পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। উদ্ধারের পরে শিশুটি জানায়, সেদিনের মতো চকলেট ও চিপস্ এর প্রলোভন দেখিয়ে হানিফ দীর্ঘদিন ধরে তাকে ডেকে নিয়ে দোকানের সাঁটার বন্ধ করে বলাৎকার করে আসছে। এ বিষয়ে নিরীহ পিতা-মাতা থানা পুলিশের কাছে অভিযোগ করতে চাইলেও ২৫ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফুলু নিজে এ ঘটনার বিচার করার আশ্বাস দিয়ে বাড়িতে ফেরত পাঠিয়ে দেন। পরে কাউন্সিলর ফুলু অভিযুক্ত হানিফ এর পক্ষ নিয়ে শালবন ইন্দ্রামোড়স্থ স্থানীয় আমজাদ চৌধুরী ও টুটুলকে সাথে নিয়ে অত্যন্ত গোপনীয়তা অবলম্বন করে হানিফের বিচার করেন। তিনি আইন বহির্ভূতভাবে বলাৎকারকারী হানিফকে কান ধরে ওঠ বস করে বিষয়টি মীমাংসা করে দেন। এরপরও ভুক্তভোগী শিশুটির পরিবারকে এ বিষয়ে কোনো কথা বললে তাদেরই বিচার করা হবে এবং এলাকা ছাড়া করার বলে হুমকি প্রদান করেন। তাদের হুমকির কারণে পরিবারটি চরম আতঙ্কে দিনাতিপাত করছে।
স্থানীয়রা জানায়, বলাৎকারকারী হানিফ দীর্ঘদিন ধরে সরকারি জায়গা দখল করে পুরাতন টায়ার বিক্রির অন্তরালে এই সকল ঘৃণিত ও অসামাজিক কার্যকলাপ দীর্ঘদিন ধরে করে যাচ্ছেন। এর আগেও এমন কর্মকান্ড করেছিলেন। কিন্তু হানিফ শীর্ষ সন্ত্রাসী মেরিল সুমনের বাবা হওয়ায় ভয়ে এলাকাবাসী কেউ কিছু বলার সাহস পায় না।
বিষয়টি নিয়ে এলাকাবাসীর পক্ষে ১১ জন সচেতন নাগরিক জেলা প্রশাসক, পুলিশ কমিশনার, উপকমিশনার গোয়েন্দা বিভাগ, অফিসারস ইনচার্জ কোতয়ালী মেট্রো থানা ও সভাপতি, রংপুর মেট্রো পলিটন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাজট্রিজগণকে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে হানিফের বিরুদ্ধে শাস্তিযোগ্য আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জোর দাবি জানিয়েছেন তারা।