ঢাকা ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ঝিনাইগাতী সদর

ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে একটি চক্র অপপ্রচারে লিপ্ত

ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে একটি চক্র অপপ্রচারে লিপ্ত

শেরপুরের ঝিনাইগাতী সদর ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রিয় চেয়ারম্যান মো. শাহাদৎ হোসেনের বিরুদ্ধে একটি চক্র অপ-প্রচারে লিপ্ত বলে অভিযোগ উঠেছে। ওই চক্রটি জনপ্রিয় এই ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, প্রভাব বিস্তার ও পাইকুড়া এআরপি উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটিকে কেন্দ্র করে নানা অপবাদ ছড়াচ্ছে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ইউপি চেয়ারম্যান শাহাদৎ হোসেনের পেশাগত ও জনপ্রিয়তার ইমেজকে সংকটে ফেলতে এবং রাজনৈতিক মেরুদণ্ড ভেঙে দিতে তার বিরুদ্ধে হয়রানির উদ্দেশ্যে এমন মারাত্মক রকমের মানহানিকর ও অসত্য অভিযোগ তুলে ধরে মিথ্যা সংবাদও প্রকাশ করা হচ্ছে। এমনকি দায়ের করা হয় নামে-বেনামে মিথ্যা অভিযোগও। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে জনপ্রিয় ইউপি চেয়ারম্যান শাহাদৎ হোসেনের বিরুদ্ধে প্রকাশিত মিথ্যা সংবাদে দাবি করা হয়েছে, ‘উক্ত ইউপি চেয়ারম্যান দীর্ঘদিন ধরেই ইউনিয়ন পরিষদ (স্থানীয় সরকার) আইন নীতিমালা পরিপন্থি কাজ করে চলেছেন। সংশ্লিষ্ট আইন ও ধারায় তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ায় অনেকটাই বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন তিনি। এতে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। এছাড়াও ওই মিথ্যা সংবাদে অসত্য তথ্যসম্বলিত নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির বানোয়াট অভিযোগ আনা হয়। পৃথক একটি সংবাদে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি পদে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর কাছে স্ত্রী হেরে যাওয়ার পর তার (চেয়ারম্যান) নেতৃত্বে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে ঢুকে রেজুলেশন খাতা ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটে।’- বলেও বানোয়াট অভিযোগ আনা হয়। যাহা আদৌ সঠিক নহে। অনুসন্ধানে গেলে, উপরোক্ত অভিযোগের সঙ্গে ওই ইউনিয়ন পরিষদের সুযোগ্য ও জনপ্রিয় চেয়ারম্যান শাহাদৎ হোসেনের কোনো সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি। প্রকৃতপক্ষে ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকেই এমন কাল্পনিক অভিযোগ এনে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করা হচ্ছে। করা হচ্ছে নামে-বেনামে মিথ্যা অভিযোগও। এমনকি চেয়ারম্যানের বক্তব্যের আংশিক অংশ, যা সুপার এডিটকৃত- এর বরাত দিয়ে স্যাটেলাইট টেলিভিশনে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। গণমাধ্যমের সামনে আসা ও আনীত অভিযোগকে ভিত্তিহীন দাবি করে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জ্ঞাপন করেছেন চেয়ারম্যান শাহাদৎ হোসেন। তিনি বলেন, ‘একটি কুচক্রি মহল আমাকে সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করতে এবং আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে বিভিন্ন ধরনের মিথ্যা, বানোয়াট ও কাল্পনিক অভিযোগ এনে বিভিন্ন প্রিন্ট ও অনলাইন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করে চলেছে। যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। একই সাথে মূলধারার গণমাধ্যমগুলোকে অনুরোধ করছি, অসত্য তথ্যসম্বলিত মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন না করতে। আইন উপেক্ষা প্রসঙ্গে ইউপি চেয়ারম্যান শাহাদৎ হোসেন বলেন, দেশের প্রচলিত আইনের প্রতি শ্রদ্ধা ও অন্যায়, অনিয়ম, দুর্নীতি, মাদক, জুয়া, ভূমিদখল, বৃক্ষ নিধনসহ যে কোনো অপরাধের প্রতি ঘৃণা রেখেই আমার পথ চলা। এছাড়া আমি একজন সরকার দলীয় নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান। সরকার আমাকে গেজেট দিয়েছে। তাই আইন অনুসারে নিয়ম মেনে নৈতিক ও পেশাগত দায়িত্ব থেকে সততা, নিষ্ঠা ও সাহসিকতার সহিত সব কাজ পরিচালনা করে আসছি। কিন্তু দুঃখের বিষয়, সম্প্রতি সমাজের কতিপয় ব্যক্তি ও আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের ইশারায় সম্পূর্ণ মিথ্যা ঘটনার বিবৃতি স্থাপন করে আমার বিরুদ্ধে মারাত্মক রকমের অপপ্রচারে লিপ্ত। তিনি আরো জানান, আমার কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা নিতে ব্যর্থ হয়ে প্রতিপক্ষের বেঁধে দেওয়া মিথ্যা স্থাপনকৃত অভিযোগ নামে-বেনামে প্রজাতন্ত্রের বিভিন্ন দপ্তরে দাখিল করা হচ্ছে। একইসাথে বিভিন্ন গণমাধ্যমে নানা রকম মানহানিকর ও মিথ্যা ঘটনার বিবৃতি দেয়া হচ্ছে। তথ্য যাচাই-বাছাই কিংবা অনুসন্ধান না করেই সেই মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতেই সংবাদ প্রচার করা হচ্ছে, যা একেবারেই অপ্রত্যাশিত। অভিযোগের বিষয়ে চেয়ারম্যান শাহাদৎ হোসেন বলেন, যেসব অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে আনা হচ্ছে। এর স্বপক্ষে কোনো সাক্ষ্য-প্রমাণ দিতে পারবে না অভিযোগকারীরা। কেননা অভিযোগের জায়গাগুলোই কাল্পনিক। শুধুমাত্র আমাকে সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার মানসিকতা থেকে আমার বিরুদ্ধে চলমান এই মিথ্যা অভিযোগ ও অপপ্রচারের মিশন। না বললেই নয়, মিথ্যা অভিযোগ এনে আমার কাছ থেকে প্রায়ই অনৈতিক সুবিধা চাওয়া হয়। এতে সাড়া না দেওয়ায় সম্প্রতি এই অপপ্রচারের মিশন। মূলত এটিই হলো পেছনের গল্প। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে, অপপ্রচার করা হচ্ছে। আর অপপ্রচার ছড়িয়ে দেওয়া গেলেও কখনোই প্রতিষ্ঠিত হয় না। অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে দেশের প্রচলিত সাইবার নিরাপত্তা আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে বলেও জানান তিনি। উল্লেখ্য, শাহাদৎ হোসেন একজন সৎ নিষ্ঠাবান ও সফল জনপ্রতিনিধি। আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়নে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে তিনি জয় লাভ করেন। তিনি পারিবারিকভাবেই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত।

অনেক বাঁধা ও বিপত্তি উপেক্ষা করে আজ একজন সফল ইউপি চেয়ারম্যান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। তিনি তার পরিশ্রম, সাহস, ইচ্ছাশক্তি, একাগ্রতা আর প্রতিভার সমন্বয়ে সাধারণ মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য অবিরত কাজ করে যাচ্ছেন। দায়িত্ব নিয়ে উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা রেখে সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছেন। এলাকার হতদরিদ্র মানুষের উন্নয়নে তার নিরন্তর প্রয়াস সব মহলেই প্রশংসা কুঁড়িয়েছে। রাস্তাঘাটের উন্নয়ন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবায় বিশেষ অবদান, সামাজিক উন্নয়নসহ বিভিন্ন প্রকল্পের বাস্তবায়নে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়ে এলাকায় নিজের মুখ উজ্জ্বল করেছেন। অপরাধ ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে তার অবস্থান জিরো টলারেন্স বলে জানা গেছে।

তিনি আক্ষেপের সাথে আরো জানান, আমি ইউপি চেয়ারম্যান হিসেবে দ্বায়িত্ব নেয়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত যদি কোনো দুর্নীতি বা ক্ষমতার অপ-ব্যবহার করে থাকি, তার একটি উপযুক্ত প্রমাণ দিক আমার প্রতিপক্ষরা। আমি প্রতিযোগিতা পছন্দ করি, প্রতিহিংসা নয়, বলেও জানান এই জনপ্রতিনিধি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত