চার দফা দাবিতে হরিজন সম্প্রদায়ের বিক্ষোভ সমাবেশ

প্রকাশ : ১৪ জুলাই ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর বংশালের মিরনজিল্লা হরিজন কলোনির বাসিন্দাদের উচ্ছেদ করে কলোনির জমিতে বহুতল বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি)। পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ১০ জুলাই বিনা নোটিশে উচ্ছেদ অভিযান চালায় ডিএসসিসি কর্তৃপক্ষ। ফলে বাস্তুহারা হয়ে যায় কলোনির প্রায় ৫০টিরও বেশি পরিবার। উচ্ছেদ অভিযানের সময় গত ১০ জুলাই মিরনজিল্লা হরিজন কলোনিতে ৩৩ নম্বর কাউন্সিলর আউয়াল হোসেনের নেতৃত্বে হরিজন সম্প্রদায়ের লোকজনের ওপর সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়। এতে অন্তত ১৬ জন আহত হয়। এ ঘটনার পর থেকে মিলনজিল্লা এলাকার মানুষের মধ্যে চরম আতঙ্ক ও নিরাপত্তাহীনতা বিরাজ করছে। এর প্রতিবাদে চার দফা দাবি নিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে হরিজন সম্প্রদায়। গতকাল শনিবার বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে এ দাবি জানিয়েছেন হরিজন সম্প্রদায়ের লোকজন। এ সময় দুই শতাধিক হরিজন সম্প্রদায়ের লোকজন উপস্থিত ছিলেন। বিক্ষোভ সমাবেশে হরিজন সম্প্রদায়ের বক্তারা বলেন, মিরনজিল্লার ইতিহাস প্রায় ৪০০ বছরের বেশি পুরনো। যে মানুষগুলোর অমানবিক পরিশ্রমের ফলে এই নগর তৈরি হয়ে আজকের তিলোত্তমা ঢাকা। তারাই আজ এই নগরে বহিরাগত-অস্থায়ী বাসিন্দার তকমা পাচ্ছে। তাদের এই দুর্যোগের সময় জনস্বার্থে উচ্চ আদালতে মামলা করে পাশে দাঁড়ান কিছু সুহৃদ আইনজীবী। ফলে উচ্চ আদালত প্রথম দফায় গত ১০ জুন এই উচ্ছেদ কার্যক্রমকে এক মাসের স্থিতি আদেশ দেন। তারা আরো বলেন, এই এক মাসের স্থিতি আদেশ পূর্ণ না হতেই গত ৯ জুলাই ডিএসসিসি কর্তৃপক্ষ আবার উচ্ছেদ অভিযানের নোটিশ দেয়। আর ১০ জুলাই কর্পোরেশনের সম্পত্তি বিভাগের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মনিরুজ্জামান উচ্ছেদ অভিযানের লক্ষ্যে স্থানীয় কাউন্সিলরের নেতৃত্বে দুই শতাধিক ক্যাডার বাহিনী নিয়ে কলোনিতে ঢুকে এক চরম আতঙ্ক ছড়ায়। কলোনির মানুষদের কিছু বুঝে ওঠার আগেই কাউন্সিলরের ক্যাডার বাহিনী তাদের ওপর দেশীয় অস্ত্র, ইট, লোহার রড ও চাপাতি নিয়ে হামলা চালায়। সম্প্রদায়ের লোকজন বলেন, এর আগে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এক টিভি সাক্ষাতে বলেন, কলোনিতে মাদক ব্যবসা চলে, এরা আমার কর্মচারীদের জিম্মি করে রেখেছে। এরা বহিরাগত। তিনি কলোনির ছাত্র-যুবককে সন্ত্রাসী ও কিশোর গ্যাং আখ্যায়িত করে অকথ্য ভাষায় আক্রমণ করেন। এই সন্ত্রাসী হামলার ও মেয়রের ষড়যন্ত্র এবং বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের প্রতিবাদে আমরা রাজপথে নেমেছি।