ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

জাপানি মায়ের দুই শিশুকে নিয়ে আদেশ ২২ জুলাই

জাপানি মায়ের দুই শিশুকে নিয়ে আদেশ ২২ জুলাই

জাপানি মায়ের কাছে থাকা শিশু জেসমিন মালিকা ও বাংলাদেশি বাবা ইমরান শরীফের কাছে থাকা শিশু লাইলা লিনাকে কোন ব্যবস্থাপনায়, কোন দেশে মা-বাবা দেখার অধিকার পাবেন- এ বিষয়ে আদেশের জন্য ২২ জুলাই দিন ধার্য করেছেন আপিল বিভাগ। গতকাল সোমবার এ বিষয়ে শুনানি করে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালতে নাকানো এরিকোর পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কেসি, অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম ও অ্যাডভোকেট শিশির মনির। জাপানি মা নাকানো এরিকো আদালতে উপস্থিত ছিলেন। অপরদিকে ইমরান শরীফের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার আখতার ইমাম। এর আগে গত ১০ জুলাই বড় কন্যা সন্তান জেসমিন মালিকাকে জাপানে রেখে বাংলাদেশে ফিরে আসেন নাকানো এরিকো। পরদিন বৃহস্পতিবার নাকোনো এরিকো বলেন, কোর্টের প্রতি সম্মান জানিয়ে বাংলাদেশে এসেছি। গত ৯ মে বড় কন্যা সন্তান জেসমিন মালিকাকে নিয়ে জাপানি মা নাকানো এরিকোর বাংলাদেশ ছেড়ে যাওয়ার ঘটনায় আদালত অবমাননা মামলার শুনানি ও হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে উভয়পক্ষের আপিল শুনানির জন্য ১১ জুলাই দিন ধার্য করেন আপিল বিভাগ। সেদিন আদালত বলেছিলেন, উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে আমরা ওই দিন জাপানি শিশুদের নিয়ে আপিল মামলা নিষ্পত্তি করব।

প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে আট বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এর আগে বড় কন্যা সন্তান জেসমিন মালিকাকে নিয়ে বাংলাদেশ ছেড়ে জাপানে চলে যাওয়ার ঘটনায় জাপানি নাগরিক নাকানো এরিকোর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করেন ইমরান শরীফ। এছাড়া তিন শিশুকে বাবা-মায়ের মধ্যে ভাগ করে দিয়ে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে উভয় পক্ষ। গত ৯ এপ্রিল বিকাল সাড়ে ৩টায় এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইটে নাকানো এরিকো বড় মেয়েকে নিয়ে বাংলাদেশ ছেড়ে যান। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট রায় দেন জাপানি শিশু জেসমিন মালিকা (বড়) ও তার ছোট বোন সোনিয়া তাদের জাপানি মা নাকানো এরিকোর কাছে থাকবে। মেজ মেয়ে লাইলা লিনা বাবা ইমরান শরীফের কাছে থাকবে।

তবে ৯ এপ্রিল আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত হাইকোর্টের রায়ের ওপর স্থিতাবস্থা জারি করেন। একইসঙ্গে পরবর্তী শুনানির জন্য ১৫ এপ্রিল দিন ধার্য করেছিলেন। কিন্তু ৯ এপ্রিল বিকালে নাকানো এরিকো বড় সন্তানকে নিয়ে জাপানে চলে যান। এদিকে আদেশ অমান্য করার অভিযোগে গত ১৫ এপ্রিল নাকানো এরিকোর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদন করেন শিশুদের বাবা ইমরান শরীফ। ইমরান শরীফের আইনজীবী ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম সেদিন বলেছিলেন, সন্তানদের দেশের বাইরে যেতে আদালতের স্থিতাবস্থা ছিল। তারপরও বড় সন্তানকে নিয়ে নাকানো এরিকো চলে গেছেন। এ কারণে আমরা আদালত অবমাননার আবেদন করেছি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত