ঢাকা ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে ট্রলারডুবি

একজনকে খুঁজতে গিয়ে নিখোঁজ আরো দুইজন

একজনকে খুঁজতে গিয়ে নিখোঁজ আরো দুইজন

কক্সবাজারের টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে ট্রলারডুবিতে নিখোঁজ নুর মোহাম্মদকে উদ্ধার করতে যাওয়া স্পিডবোট ডুবে আরো দুইজন নিখোঁজ রয়েছেন। গত বুধবার সন্ধ্যার দিকে টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপের অদূরে বঙ্গোপসাগরে এই ঘটনা ঘটে। এইদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৮টা পর্যন্ত নিখোঁজদের সন্ধান মিলেনি বলে জানিয়েছেন, টেকনাফ মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ওসমান গনি। নিখোঁজরা হলেন, সেন্টমার্টিনের ছলিম উল্লার ছেলে নুর মোহাম্মদ শওকত (২৭), মৃত আজম আলীর ছেলে মো. ইসমাঈল (২৮) ও মৃত আবদুর রহমানের ছেলে মোহাম্মদ ফাহাদ (৩০)। তাদের মধ্যে নুর মোহাম্মদ শওকত ও ইসমাঈল ডুবে যাওয়া ট্রলারের যাত্রী ছিল। এর আগে গত বুধবার বিকাল ৩টার দিকে শাহপরীর দ্বীপ ঘোলার চর থেকে সেন্টমার্টিন যাওয়ার পথে মাঝসাগরে ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটে। ট্রলারটিতে ৬ মাঝিমাল্লাসহ ১৭ জন লোক ছিলেন। সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে সেন্টমার্টিন থেকে স্থানীয় বাসিন্দারা ৪টি স্পিড বোটে করে উদ্ধার অভিযানে নামে। গত বুধবার বিকাল ৫টার দিকে ডুবে যাওয়া ট্রলারের ১২ লোককে জীবিত উদ্ধার করে সেন্ট মার্টিন ফিরছিল স্পিডবোটগুলো। পথিমধ্যে উত্তাল ঢেউয়ে ট্রলারের আরেকজনকে উদ্ধার করতে গিয়ে একটি স্পিডবোট ডুবে যায়। সেখানে ৬ জন ছিলেন। এদিকে গত বুধবার রাত ৮টার দিকে ডুবে যাওয়া স্পিডবোটের ৪ জন সাঁতরিয়ে শাহপরীর দ্বীপ পশ্চিম সৈকতে ওঠেন। ডুবে যাওয়া স্পিডবোট থেকে সাঁতরিয়ে ফেরা সেন্টমার্টিন ডেইলপাড়ার বাসিন্দা উম্মত আলী বলেন, আমরা চারটি স্পিডবোট নিয়ে সাগরে নেমে ডুবে যাওয়া ট্রলারের ১৩ জনকে জীবিত উদ্ধার করেছিলাম। তিনি বলেন, ডুবে যাওয়া ট্রলারের যাত্রী ইসমাঈলকে আমাদের স্পিডবোট উঠিয়ে দ্বীপের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়ার সময় ঢেউয়ের তাণ্ডবে স্পিডবোটটি উল্টে যায়।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত