ফেনীতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপি ও জামায়াত ইসলামী ছাত্র শিবিরের ৪০০ নেতাকর্মীকে আসামি করে আলাদা দুটি মামলা করেছে পুলিশ। এ নাশকতা মামলায় ৭৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত ১৯ জুলাই ফেনী শহরের ট্রাংক রোডে কোটা আন্দোলনকারী ও পুলিশের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। একই দিন বিকাল ৫টায় শহরের সেন্ট্রাল হাইস্কুলের সামনে সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি ট্রাংক রোডের দিকে অগ্রসর হতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় পুলিশ শিক্ষার্থীদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দিতে চাইলে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে পুলিশ লাঠিচার্জ করলে মিছিলকারীরাও পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপে শুরু হয় সংঘর্ষ। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) থোয়াই অং প্রু মারমার নেতৃত্বে বিপুলসংখ্যক পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে রাবার বুলেট ও ফাঁকা গুলি ও টিয়ার সেল নিক্ষেপ। কিছুক্ষণ পর বিজিবি ও র্যাব সদস্যরা ঘটনাস্থলে আসলে আন্দোলনকারীরা পিছু হটে। জেলা পুলিশ পুলিশ জানায় ঘটনায় ফেনী মডেল থানার এসআই আল আমিন বাদী হয়ে ২১ জনের নাম উল্লেখ করে ১০০ থেকে ১৫০ জনকে আসামি করে মামলা করেন। ফেনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) মুহাম্মদ শাহাদাৎ হোসেন বলেন, কোটা ইস্যু নিয়ে বিশৃঙ্খলার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে। এসব ঘটনায় ২ মামলায় ৭৪ জনকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে এবং ফেনীর আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রয়েছে।