জঙ্গিদের ছিনিয়ে নিতেই কারাগারে হামলা করা হয়েছে

বললেন মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রী

প্রকাশ : ২৭ জুলাই ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নরসিংদী প্রতিনিধি

মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, নরসিংদী জেলা কারাগারে জঙ্গিদের ছিনিয়ে নিতে হামলা করা হয়েছিল। এ ঘটনায় জড়িতদের কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। গতকাল শুক্রবার দুপুরে পাঁচদোনায় সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেসব স্থাপনা তৈরি করেছেন সেগুলোর ওপর হামলা করছে দুষ্কৃতকারীরা। তারা বাংলাদেশকে একটি অকার্যকর রাষ্ট্র হিসেবে পরিণত করতে চেয়েছে। যেন তাদের প্রভুকে দেখাতে পারে। তারা চেষ্টা করছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে সরাতে।

তিনি আরো বলেন, ৭১-এর সেই পরাজিত শক্তি জামায়াত শিবিরের সন্ত্রাসীরা মুক্তিযুদ্ধকে মেনে নিতে পারেনি। তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করতে চায়। মুক্তিযুদ্ধের সেই গর্বের ধন, আজ পরাজিত শক্তির কাছে আক্রান্ত হচ্ছে। এ সময় তিনি রাজাকারদের তালিকা প্রস্তুত করে কমিটির মাধ্যমে তা বাস্তবায়নে আহ্বান জানান। মন্ত্রী বলেন, আদালত মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের ৫ শতাংশ কোটা দিয়েছে এটাকে আমরা স্বাগত জানাই। দেশে অরাজক পরিস্থিতির বিষয়ে তিনি আরো বলেন, যারা দেশে তাণ্ডব চালিয়েছে তারা কখনো ছাত্র হতে পারে না। তারা ছিল বিএনপি ও জামায়াত রাজাকারের দল। তাদের কার্যকলাপে আমাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছে। কারণ আমাদের প্রাণের প্রতিষ্ঠান মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে আঘাত করেছে। মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তি বিএনপি, জামায়াত, শিবির ও ছাত্রদলের ক্যাডাররা এ আঘাত করেছে। নরসিংদী জেলা প্রশাসক ড. বদিউল আলমের সভাপতিত্বে এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খান, নরসিংদী সদর আসনের সংসদ সদস্য লে. কর্নেল (অব.) মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম (বীরপ্রতীক), মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) হেলাল মোর্শেদ, নরসিংদীর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জিএম তালেব হোসেন, নরসিংদী সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন, সেক্টর কমান্ডার ফোরাম ৭১-এর নরসিংদী জেলা শাখার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মোতালিব পাঠান, রায়পুরা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সাবেক কমান্ডার নজরুল ইসলাম, পাঁচদোনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান প্রমুখ।