শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসহ দেশের সব বিমানবন্দর হতে আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট চলাচল স্বাভাবিক হচ্ছে। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) গতকাল শুক্রবার জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ১৪৭টি ফ্লাইট চলাচল করেছে ও ১১৩টি অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট চলাচল করেছে। ফ্লাইট ছাড়ার ক্ষেত্রেও নেই সিডিউল বিপর্যয়। এয়ারলাইন্স কর্মকর্তারা জানান, কয়েকদিন আন্দোলন আর কারফিউর কারণে গণপরিবহন সংকট ছিল। এ কারণে যথাসময়ে বিমানবন্দরে পৌঁছাতে সমস্যা হচ্ছিল বিভিন্ন গন্তব্যের যাত্রীদের। এতে ফ্লাইট সিডিউলও বিঘ্নিত হয়। বাতিল হয়েছে সৌদিয়াসহ বেশ কয়েকটি বিদেশি এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট। বিমানবন্দরে চরম ভোগান্তির শিকার হন অনেক যাত্রী। গণপরিবহন চালু হওয়ায় সেই সংকট কেটে গেছে। তবে যাত্রী কিছুটা কম রয়েছে। এ কারণে কমিয়ে দেয়া হয়েছে ফ্লাইট।
্ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের জনসংযোগ কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম জানিয়েছেন, বিমানবন্দর থেকে নির্ধারিত সময়ে ছেড়ে যাচ্ছে ইউএস বাংলাসহ বিভিন্ন এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) বোসরা ইসলাম জানান, সঠিক সময়ে বিভিন্ন গন্তব্যে ছেড়ে যাচ্ছে বিমানের সব ফ্লাইট। এয়ার অ্যাস্ট্রার ডেপুটি ম্যানেজার সাকিব হাসান শুভ বলেন, ইন্টারনেটের গতি কম থাকায় অনলাইনে টিকিট বিক্রিতে তারা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন।
সাকিব জানিয়েছেন, তারা ফ্লাইটের সংখ্যা কমিয়েছেন কারণ অবসরে ভ্রমণকারীরা কারফিউয়ের মধ্যে আপাতত ভ্রমণ করছেন না। কক্সবাজার ভ্রমণকারী পর্যটকের সংখ্যা কমে গেছে। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম জানান, বিমানবন্দরের নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। সঠিক সময় যাত্রীরা বিমানবন্দরে পৌঁছাতে পারায় সিডিউল অনুযায়ী ছেড়ে যাচ্ছে সব ফ্লাইট। এদিকে, ট্রাভেলে এজেন্সিগুলো দাবি করেছে, কোটা সংস্কার অন্দোলন ঘিরে সংহিংসতার মধ্যে গেল বৃহস্পতিবার থেকে সারা দেশে ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর থেকে ছয় দিনে প্রায় ৬০০ কোটি টাকা ব্যবসা করতে পারেনি তারা। এছাড়া ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন (আইএটিএ) বিধি অনুসারে বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলোর পাওনা অর্থও পরিশোধ করা সম্ভব হয়নি।