নরসিংদী জেলা কারাগার সংস্কার করে শিগগিরই বন্দিদের বসবাসযোগ্য করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার মো. সাবিরুল ইসলাম। গতকাল শনিবার সকালে নরসিংদী জেলা কারাগার পরিদর্শন শেষে এ কথা জানান তিনি। বিভাগীয় কমিশনার বলেন, কারাগারে হামলা-ভাঙচুর, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর থেকে ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করতে কারাগারটি পরিদর্শন করেছি। এর আগে সরকারের মন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্টরাও পরিদর্শন করেছেন। তিনি বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করে কারাগারটি ব্যবহারযোগ্য করতে কর্তৃপক্ষকে পরামর্শের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। কারাগার পরিদর্শনের সময় তার সঙ্গে ছিলেন অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক কর্নেল শেখ সুজাউর রহমান, র্যাব-১১ এর সিইও লেফটেন্যান্ট কর্নেল তানভীর বাশার, নরসিংদীর জেলা প্রশাসক বদিউল আলম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান। শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে গত ১৯ জুলাই বিকালে হাজার হাজার মানুষ মিছিল নিয়ে নরসিংদী জেলা কারাগারে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করে ভেতরে ঢুকে সেলের তালা ভেঙে দিলে ৯ ‘জঙ্গি’সহ মোট ৮২৬ কয়েদি পালিয়ে যায়। এ সময় অস্ত্র-গোলাবারুদ ও খাদ্যপণ্য লুট এবং ব্যাপক ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ করে হামলাকারীরা। প্রাথমিকভাবে কারা কর্তৃপক্ষ ও রক্ষীরা প্রতিহত করার চেষ্টা করলেও অবস্থা বেগতিক দেখে পিছু হটতে বাধ্য হয়। এক পর্যায়ে তারা জীবন বাঁচাতে কয়েদিদের সঙ্গে মিশে যান। এ সময় যেসব কয়েদি জেল ছেড়ে পালাতে চাননি, তাদের মারধরও করা হয়। এ ঘটনার পর থেকে কারাগারসহ ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শন করেন মন্ত্রীসহ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। কারাগারসহ বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১১টি মামলা হয়েছে। গত শুক্রবার নরসিংদীর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান জানিয়েছিলেন, কারাগার থেকে পলাতক ৯ জঙ্গির মধ্যে চারজনসহ ৯ কয়েদিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জেল পলাতক ৪৮১ কয়েদি থানা ও আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন।