সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবির আন্দোলনের নামে অরাজকতা সৃষ্টি করা হয়েছে, এমন দাবি করে এর প্রতিবাদ জানিয়েছেন পাঁচ শতাধিক প্রকৌশলী। গতকাল রোববার বিকেলে বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার মো. নূরুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। দেশের এই উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে রুখতে স্বাধীনতাবিরোধী বিএনপি-জামায়াত কোটা সংস্কার আন্দোলনে দেশের কোমলমতি মেধাবী শিক্ষার্থীদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে অসংখ্য সরকারি-বেসরকারি অবকাঠামো ও যানবাহনসহ সারা দেশে অগ্নিসন্ত্রাসের মাধ্যমে অরাজকতা সৃষ্টি করেছে। তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও সাধারণ জনগণের প্রাণহানিসহ দেশের হাজার হাজার কোটি টাকার ক্ষতিসাধন করেছে। একইসঙ্গে বিভিন্ন অপপ্রচার ছড়িয়ে বহির্বিশ্বে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার অপচেষ্টা করছে। বিবৃতিতে বলা হয়, এই দেশবিরোধী-স্বাধীনতাবিরোধী অগ্নিসন্ত্রাস ও ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপে জড়িত সকলের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন প্রকৌশলী, পেশাজীবী, বুদ্ধিজীবীসহ বিশিষ্ট নাগরিকরা।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন- বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদ (বিপিপি) সভাপতি ও ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. প্রকৌশলী মো. হাবিবুর রহমান, আইইবির প্রেসিডেন্ট ও বিপিপির পৃষ্ঠপোষক ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর এমপি, আইইবির সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার এস. এম. মনজরুল হক মঞ্জু, আইইবির প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ও রাজউক-এর সাবেক চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার নূরুল হুদা, আইইবির প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ও গণপূর্ত অধিদপ্তরের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার মো. কবির আহমেদ ভূঁইয়া, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার মো. মতিয়ার রহমান, ইঞ্জিনিয়ার শেখ মো. মহসিন, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার মনির হোসেন পাঠান, বিপিপির সহ-সভাপতি ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. প্রকৌশলী মুনাজ আহমেদ নূর প্রমুখ।