পাবনার সহকারী পরিচালক

পরিবেশ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার আদেশ মানেন না

প্রকাশ : ৩১ জুলাই ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  খালেকুজ্জামান পান্নু, সাঁথিয়া, পাবনা

পরিবেশ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আদেশ জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তারা মানেন না। পাবনার সাঁথিয়ায় একটি তাঁত কারখানার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুই বছর আগের দেয়া পরিচালকের আদেশ (উপসচিব) অদ্যাবধি কার্যকর করা হয়নি। সাঁথিয়া পৌর এলাকার পিপুলিয়া মহল্লার ‘রাজ উইভিং ফ্যাক্টরি’ নামক তাঁত কারখানার বিরুদ্ধে একই মহল্লার (পিপুলিয়া) মতিন কাজী (পিতা জুলমত কাজী) ২৮ অক্টোবর’ ২০২০ ফেব্রুয়ারি অভিযোগ দেন রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার বরাবর এবং ১০ জানুয়ারি’ ২০২২ অভিযোগ দেন পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর।

অভিযোগকারী তার আবেদনপত্রে অভিযোগ করেন, ‘রাজ উইভিং ফ্যাক্টরি’র কেমিক্যালযুক্ত পানি, ফ্যাক্টরির বিকট শব্দ এবং সাউন্ড বক্সের বিকট শব্দে জনস্বাস্থ্যের ক্ষতি সাধন হচ্ছে। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ১৫ ফেব্রুয়ারি’ ২০২২ পরিচালক প্রশাসন (ড. এটিএম মাহবুব-উল-আলম) স্মারক নং ২২.০২.০০০০.০০২.২৭.০১২.১৮.৫২ পাবনার সহকারী পরিচালককে দ্রুত তদন্ত করে ৭ দিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। তদন্ত হয়েছে তিন দফা কিন্তু রহস্যজনক কারণে আদেশটি অধ্যাবধি বাস্তবায়ন হয়নি বা কারখানাটির বিরুদ্ধে কোনো আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।

মতিন কাজী প্রথম অভিযোগ দেন সাঁথিয়া পৌর সভার মেয়র বরাবর ২০২০ সালের ১০ জানুয়ারি। ২৪ ফ্রেব্রুয়ারি ২০২১ মতিন কাজীর দেয়া একই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক বিষয়টি তদন্ত করার জন্য পাঠান সাঁথিয়া পৌরসভার মেয়রের বরাবর। এরপর, মেয়র মো. মাহবুবুল আলম ৭ সদস্যের একটি তদন্ত কামটি গঠন করেন (স্মারক নং সাঁ/পৌরঃ/প্রশাঃ/২০২১/৭২৭। তদন্তে আবাসিক এলাকায় পরিবেশ দূষণ করে মিল কারখানা নির্মাণ আইন না মেনে ফ্যাক্টরি স্থাপনের ফলে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতিকর বলে উল্লেখ করে কারখানটির মালিক মো. ইন্তাজ আলী মল্লিককে কারখানা অনাবাসিক এলাকায় স্থানান্তরের আদেশ দেন (স্মারক নং সাঁ/পৌঃ/প্রশাঃ ২০২১/৭২৭/১(৮)। ৬ সেপ্টেম্বর ২০২১)।