বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে জ্বালানি নিরাপত্তা জোরদার করতে হবে। আধুনিকায়নের পাশাপাশি সাইবার সিকিউরিটি ও ফিজিক্যাল নিরাপত্তার বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। গতকাল মঙ্গলবার ভার্চুয়ালি জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের ২০২৩-২৪ অর্থবছরের আরএডিপিতে অন্তর্ভুক্ত প্রকল্পগুলোর গত জুন পর্যন্ত বাস্তবায়ন ও অগ্রগতির পর্যালোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের অব্যাহত উন্নয়নের ফলে জ্বালানির চাহিদা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশীয় উৎস থেকে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান কার্যক্রম বাড়ানো হয়েছে। এখন সমন্বয় ও দ্রুত সিদ্ধান্ত প্রয়োজন। ১০০ কূপ খননের কর্মপরিকল্পনা দ্রুত গ্রহণ ও টাইমলাইন নির্ধারণ করে কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা বাঞ্ছনীয়।
২০২৪ জুন পর্যন্ত জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের এডিপি বাস্তবায়নের হার ছিল ১০৭ দশমিক ৮৯ ভাগ। জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের ৪৬টি প্রকল্পে বরাদ্দ ছিল ৩৮৮০ দশমিক ৯৯ কোটি টাকা, ব্যয় করা হয়েছে ৪১৮৭ দশমিক ২৮ কোটি টাকা, অর্থাৎ বাস্তবায়ন করা হয়েছে ১০৭ দশমিক ৮৯ ভাগ।
প্রতিমন্ত্রী, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগ ধারাবাহিকভাবে শতভাগ এডিপি বাস্তবায়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করায় এ বিভাগের সব কর্মকর্তাকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘সম্মিলিত ও সমন্বিত উদ্যোগে প্রকল্পের কাজ সমাপ্ত করতে হবে। প্রয়োজনে প্যারালালি অনেকগুলো কাজ একত্রে করলে দ্রুততার সঙ্গে সাফল্য পাওয়া যাবে।
জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের সচিব মো. নূরুল আলমের সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মাঝে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান মো. আমিন উল আহসান, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং বিভিন্ন দপ্তর সংস্থা ও কোম্পানির প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।