বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছয় সমন্বয়ককে ছেড়ে দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি)। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে ডিবি হেফাজতে থাকা ৬ সমন্বয়ককে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ছয় সমন্বয়ক হলেন- মো. নাহিদ ইসলাম, মো. সারজিস আলম, হাসনাত আব্দুল্লাহ, মো. আবু বাকের মজুমদার, আসিফ মাহমুদ ও নুসরাত তাবাসসুম। জানা গেছে, ডিবি হেফাজত থেকে ছাড়া পাওয়ার আগে ৩২ ঘণ্টা অনশনে ছিলেন ছয় সমন্বয়ক। বিষয়টি নিশ্চিত করেন অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলামের বাবা বদরুল ইসলাম। গতকাল মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয় থেকে নাহিদসহ ছয় সমন্বয়ক ছাড়া পান বলে জানান নাহিদের বাবা।
বদরুল ইসলাম জানান, ছেড়ে দেয়ার আগে ছয় সমন্বয়ক ৩২ ঘণ্টা ধরে অনশনে ছিলেন। ৬ সমন্বয়কের অনশনের বিষয়টি জানান সুপ্রিমকোর্টের তরুণ আইনজীবী মানজুর আল মতিন পীতম।
পীতম নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক প্রোফাইলে এক পোস্টে লিখেন, ‘ডিবি হেফাজতে বন্দি ৬ সমন্বয়ক গত ৩২ ঘণ্টা ধরে অনশনে। আমি ভাবতাম তোরা নজরুল পড়িসনি! কত ভুল ভাবতাম রে! তোরাই তো একেকটা নজরুল! ৩৯ দিনের অনশনে নজরুল একাই ব্রিটিশ রাজের ভিত্তি নাড়িয়ে দিয়েছিলেন! তোরা তো অগুনতি নজরুল! কে ঠেকায় তোদের! ‘উহারা ক’জন, তোরা অগণন! সকল শক্তিধারী!’ সমন্বয়ক নাহিদ ইসলামের বাবা বদরুল ইসলাম বলেন, গতকাল ভোররাত ৬টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছয় সমন্বয়ককে সবার বাসায় ফোন দিয়ে ডিবি অফিসে আসতে বলা হয়। পরে গতকাল দুপুর দেড়টার দিকে ডিবি কার্যালয়ের নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থায় তাদের বাসায় পৌঁছে দেয়া হয়। নাহিদ এখন কথা বলার মতো অবস্থায় নেই। তারা দুই দিন ডিবি অফিসে অনশন করেছিল। সে এখন শারীরিকভাবে বিপর্যস্ত। প্রসঙ্গত, গত ২৬ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলনের তিন সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদারকে হাসপাতাল থেকে মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে নেয়া হয়। পরের দিন ২৭ জুলাই মো. সারজিস আলম, হাসনাত আব্দুল্লাহ ও নুসরাত তাবাসসুমকেও ডিবি হেফাজতে নেয়া হয়। ডিবির দাবি, তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিলেন। তাই তাদের নিরাপত্তা হেফাজতে রাখা হয়েছে।
